১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ১:৩৭ |
লিঙ্ক
প্রিয় ব্লগার নুশেরার অনুরোধে গুলজারের এই বিখ্যাত গীতীকবিতা ‘মেরা কুছ ছামান’ অনুবাদ করার চেষ্টা করেছি।মূল উর্দু থেকে বাংলায় অনুবাদ দুরূহ কাজ।কন্টেন্ট,ভাব,আবহ,আবেদন বিচ্যুত হতে বাধ্য। তাই ভুলভ্রান্তি হলে মার্জনা করবেন। গানটি এখানে
আ আ আ আ আ
মেরা কুছ ছামান তুমহারি পাছ পড়া হ্যায়
ও শাওয়ান কে কুছ ভিগে ভিগে দিন রাখখে হ্যায়ে
ও কওন মেরে এক খাত মে লিপটি রাত পড়ি হ্যায়
ও রাত বুঝা দো মেরা ও ছামান লওটা দো…..
ও পতঝাড় হে কুছ হ্যায়..হ্যায় না ? উঁ ?
ও পাতঝড় মে কুছ পাত্তো কি
গিরনে কি আহাত..
কানোমে ইকবার পাহেনকি লাওটাইথি..
পাতঝাড় কি ও শাখ আভি তাক কাঁপ রাহি হ্যায়
ও শাখ খিরা দো…..
মেরা ও ছামান লওটাদো….
এক আকেলি ছত্রিমে জো
আধে আধে ভিগ রাহেথে
আধে শুখে আধে গিলি
শুখা তো ম্যায় লে আয়িথি
গিলামন শায়েদ বিস্তার কে পাছ পড়া হো…..
ও ভিজওয়া দো
মেরা ও ছামান লওটা দো……
একসো ষোলা চাঁদ কি রাতে
এক প্রহারে কাঙ্গে কাটু
গিলি মাহেঙ্গি কি খশবু
ঝুটমুট কে সিকউয়ে কুছ….
ঝুটমুটকে ওয়াদেভি সব ইয়াদ কারা দো
সব ভিজওয়া দো…..
মেরা ও ছামান লওটা দো..
এক ই ইজাজাত দে দো বাস
জব ইছকো দাফনাউঙ্গি…..
ম্যায়ভি ওহি সো জাউঙ্গি ,ম্যায়ভি ওহি সো জাউঙ্গি…।
বঙ্গানুবাদঃ
আমার কিছু সম্পদ পড়ে আছে তোমার কাছে
সেই শাওনের কিছু বিছু ভেজা ভেজা দিন রেখে এসেছিলাম
আমার কোন এক রাতও চিঠির খামে লেপ্টে পড়ে আছে…..
মুছে দাও সে রজনী
ফিরিয়ে দাও আমার সে সম্ভার…..
সেই অরণ্যেও কি কিছু আছে ? আছেনা?
সেই অরণ্যেও কিছু পাতার সেকি আকুতি পতনের..
একবার তুলে এনেছিলাম কানে পরার জন্য
বাঁশঝাড়ের সেই শাখাটি আজো কেঁপে চলেছে
সেই কাঁপুনি থামিয়ে দাও…..
আমার সেই সম্পদ আমায় ফিরিয়ে দাও..
একা একেলা ছাতার নিচে সেই যে আধা আধা ভিজে গেছিলাম
গিলামন ও আধা ভিজে গেছিল
আমি তো শুকনোই এনেছিলাম
হয়ত সেই গিলামন তোমার বিছানার পাশে পড়ে আছে
সেটাও পাঠিয়ে দাও…..
ফিরিয়ে দাও আমার সে সম্ভার…..
একশ’ ষোল চাঁদের রাত
যেন কেটে গেছিল এক লহমায়
জ্যোৎস্না মাখানো সুবাস আর
মিছামিছি অভিযোগ সেই সব
সেই মিছামিছি ওয়াদাও মনে করিয়ে দাও…
সে সব পাঠিয়ে দাও
ফিরিয়ে দাও আমার সে সম্ভার…..
একটাই অনুমতি দিয়ে দাও ব্যাস
যখন এই সব সমাধিস্থ করে দেব
আমি যেন ওখানেই শুয়ে থাকতে পারি
আমি যেন ওখানেই পড়ে থাকতে পারি ।
লেখাটির বিষয়বস্তু(ট্যাগ/কি-ওয়ার্ড): উর্দু গীতীকবিতার অনুবাদ, উর্দু গীতীকবিতার অনুবাদ ;
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জুন, ২০১০ রাত ৩:১২ | বিষয়বস্তুর স্বত্বাধিকার ও সম্পূর্ণ দায় কেবলমাত্র প্রকাশকারীর…

আমি এই গানটা এ্যাড করতে পারলাম না।খুব ইচ্ছা ছিল গানটা পোস্টে দেয়ার…..


খিলালী বলেছেন: কাকু, আপনের অনুবাদ : সে রাত বুঝিয়ে দাও
উর্দুতে বুঝা অর্থ মুছে দেওয়া। কখনো কখনো নিভিয়ে বা বন্দ করে দেওয়া। আমার ভারতীয় মাউরা (উরদু ভাষী বলে, লাইট বুঝা দো!)।
অনুবাদ ভালেঅ হইসে। তবে গিলামন বুঝি নাই। মিথ্যামিথ্যি আর প্রতিজ্ঞার বিকল্প শব্দ দেখেন পান কি না।
লেখক বলেছেন: “ও রাত বুঝা দো”রে কি করর্তাতাম ?সেই রাত বন্ধ করে দাও ? নাকি সেই রাত বুজাইয়া দেও ? হয়না। সবকিছু বাংলায় হয়না। হেই লাইগ্যা ডিসক্লেইমার দিলাইছি কাগু ।
গিলামন একধরনের উত্তরীয়। এইডা লেখলে ভাল্লাগতো না হের লাইগ্যা গিলামনই রাকসি ।হ মিছামিছি করন যায়। ওয়াদে কে অবশ্য ওয়াদা বললে হতো। থ্যাঙ্কু।


আমি অভিভূত, আপ্লুত, বিমুগ্ধ।
আমার ছোট্ট একটা অনুরোধ আপনি মনে রেখেছেন, শত ব্যস্ততার মাঝেও সুকঠিন লিরিকের এমন চমত্কার অনুবাদ করেছেন… তারপর উপরি পাওনা উত্সর্গ! কী সৌভাগ্য!আমি বরং মূল গানটির লিংক দেয়ার চেষ্টা করি।
লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ নুশেরা।খুব ভয়ে ভয়ে সারলাম কাজটা।দাঁতভাঙ্গা থিয়োরিটিক্যাল লেখা অনুবাদ পর্যন্তই আমার দৌড়।আমার মেইল আই ডি দিলাম। মেইলে আপনার ই ডি দিলে আমি কিছু mpeg ফাইল পাঠাব।ওগুলো লিঙ্কে দেয়া যাচ্ছেন।
. ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ ভোর ৫:৪৪


আমি যার পর নাই অভিভূত।
যদিও আমি খিলালীর সাথে একমত……..লেখক-কবি-অনুবাদকরে জ্ঞান দেয় মূর্খরা। আমিও হেই দলে যাইতে রাজি না।
শুধু একটা বিষয়ে আমি সবার দৃষ্টি আকর্ষন করতে চাই- হিন্দি অথবা উর্দ্দু উচ্চারন বাংলায় লিখার সময় আমরা ‘স’ গুলোকে ‘ছ’ করে দিই কেনো? হিন্দিতে কিন্ত ‘স’ এবং ‘ছ’ দুটোই বিদ্যমান, তাদের আলাদা উচ্চারন সহ।
খেয়াল করেন আপনি কিন্তু ‘কুছ’ বলছেন আবার ছামান বলছেন, দুটোর বানান কিন্ত সম্পুর্ন আলাদা। তো ‘শায়েদ’ যদি উচ্চারন হতে পারে, শামান কেন নয়।
বিষয়টা ভাববেন আশা করি।
লেখক বলেছেন: ‘স’ এবং ‘ছ’ বিদ্যমান।ঠিক।কিন্তু ‘সামান’ উচ্চারণটা ঠিক হয়না।দন্তস্পর্শিত শব্দমালা যা একটু হাস্কি ধরণের সেটা ‘শামান’ যুক্তিযুক্ত নয়। মালামাল বা মালপত্র এর হিন্দি ‘ছামান’ই সহি মনে হয়েছে আমার কাছে। হ্যাঁ, ‘শায়েদ’ ছায়েদ বা সায়েদ হবে না।
আপনার পর্যবেক্ষণের জন্য ধন্যবাদ।


১. ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ১:৪৫
আমার এই পোস্টটা দেইখা পাঁচটা প্রিয় কবিতার নামধাম দিয়া গেলে ভালো হৈতো।