০৭ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ১:০৩ |
একজন বাংলাদেশী লেখক-সাংবাদিক আলবেনিয়া সফর করছিলেন। তিরানায় কয়েকজন তরুণের সঙ্গে তার কথা হচ্ছিল, যারা অবজ্ঞা-অবহেলায় এনভার হোক্সার নয়া আলবেনিয়াকে নিয়ে তামাশা করছিল। কেন তিরানা রোম, এথেন্স বা ভিয়েনার মতো জৌলুস-জাঁকে পরিপূর্ণ নয় তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল। স্পষ্টতই রোম, এথেন্স, প্যারিসের সঙ্গে ছুটতে চাইছিল ওরা।ওই লেখক বলেছিলেন, “অর্জন তো করেনি, জন্মসূত্রে যা পেয়েছো হেলায় ধ্বংস করো না। জন্ম-জন্মান্তরের ফিরে পাবে না,” (হুবহু উদ্ধৃত নয়)।
তিনি যখন তিরানার তরুণদের সতর্ক করছিলেন তারও পনেরো বছর আগে আমাদের তরুণ প্রজন্ম তাদের যুদ্ধে পাওয়া স্বাধীনতাকে, ছিনিয়ে আনা স্বদেশকে, রক্তাক্তত মুক্তিযুদ্ধকে খুঁইয়ে বসেছে। আমার লেখালেখির সময়কালে অনেক বিষয়ে লিখেছি। কখনো মুক্তিযুদ্ধ-বিজয়-স্বাধীনতা নিয়ে লিখিনি। লিখতে পারিনি। চোখের সামনে প্রিয় মানুষটি পুড়ে অঙ্গার হলে যে অনুভূতি হয় তা-ই হয়েছিল এখনো হয়। অসহ্য যন্ত্রণা আর ভয়ঙ্করতম ব্যর্থতায় কখনোই মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লিখিনি। একসঙ্গে হাজার হাজার লেখা কলমের ডগা দিয়ে বেরুতে গিয়ে জট পাকিয়ে গেছে। অসহ্য ক্ষোভে বধির হয়ে গেছি যেন। ৩৭টি বছর ধরে কানের ভেতর একধরনের ভোঁতা ভোঁ ভোঁ শব্দ বেজেছে। গুমরে ওঠা হতাশা, ব্যর্থতা, লজ্জা, অপারগতা দলা পাকিয়ে গলার কাছটিতে উঠে এসেছে। এ যেন চেয়ে চেয়ে মহাদেশ ডুবতে থাকার জান্তব দৃশ্যাবলির বায়োস্কোপ।আজ বিজয়ের মাসে লিখতে বসে ক্ষতের ওপরকার পাতলা পলেস্তারা খোঁচা দিয়ে তুলে দিলাম যেন। কাঁচা হয়ে যাওয়া ওই ক্ষত এখন দগদগে। কী লিখবো? বাঙালির পরাজয়ের ইতিহাস? সাধের ছোট্ট ৫৬ হাজার বর্গমাইলের অ্যাকুরিয়ামের ভেঙে যাওয়ার ইতিহাস? বিজিতের রক্তচুর সামনে বসে স্বাধীনতার নামতা পড়ার ইতিহাস? নাকি সেই হতভাগাদের কাসুন্দি, যারা বৈষম্য দেখেছে, সংগ্রাম দেখেছে, যুদ্ধ দেখেছে, সর্বগ্রাসী অত্যাচার দেখেছে, স্বাধীনতা দেখেছে। আবার চোখের পলকে বিজয়-স্বাধীনতা লুট হতে দেখেছে? স্পষ্টতই অনুভব করি, আমরা সেই ক্রান্তিকালের মানুষ, যারা ইতিহাসের চৌর্যবৃত্তিতে নিঃস্ব, অথচ আঁকড়ে ধরে রেখেছে পোড়া ভিটের পোড়া খুঁটির শেষাংশ।
এই জনপদের বাঙালিরা সম্ভবত বিশ্বের একমাত্র জাতি যারা ত্রিশ লাখ মানুষের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার মাত্র তিন/চার বছরেই শহীদদের সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে। যুদ্ধের সহায়ককে নিয়ে তামাশা করেছে। যুদ্ধের নেতার নেতৃত্ব নিয়ে সন্দেহ করেছে। অবিশ্বাস করেছে। একসময় সন্দেহগুলো পাকাপোক্ত হয়ে সিদ্ধান্তে দাঁড়িয়ে গেছে। এই জাতি তার বীরাঙ্গনাদের নিয়ে অশ্লীল মস্করা করেছে। নয় মাসের যুদ্ধকে চাপিয়ে দেওয়া বলেছে। পবিত্র ভূমি (!) পাকিস্তান ভাঙার জন্য ভারতকে শত্র“ বলে কাঠগড়ায় তুলেছে। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকে ভারতের ষড়যন্ত্র বলেছে। শেখ মুজিবকে ‘২৫ মার্চের স্কেপিস্ট’ বলেছে। ‘পলায়নপর সুবিধাবাদী’ বলেছে। পরে ভৎর্সনা করেছে। জাতির পিতা বিষয়ে বেশুমার মস্করা করেছে। বঙ্গবন্ধুর চারপাশের বর্ণচোরাদের অনুগুণ্ঠন খুলে গেছে। একসময় মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় তাকে সপরিবারে হত্যা করে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে পাওয়া স্বদেশ কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুঁকছে। অতঃপর নতুন প্রজন্ম বলতে শুরু করেছে, ‘গন্ডোগোলের বছর’। নতুন প্রজন্ম একাত্তরের সেই আত্মবলিদানকে বলেছে, গেঁয়ো কিছু মানুষের আহম্মকি!
আমার খুব হাসি পায়, যখন দেখি আমাদের বিদ্বোৎজনরা বলেন, এদেশের নব্বই-পঁচানব্বই ভাগ মানুষই সে সময়ে স্বাধীনতার জন্য লড়েছিল, পক্ষে ছিল। সবাই কোনো না কোনোভাবে যুদ্ধের ভেতরেই ছিল। হাসি পায়। দুঃখবোধ করি। আমার সরল যুক্তি দিয়ে বুঝি, তা-ই যদি হতো তাহলে মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় মুক্তিযুদ্ধের স্থপতিকে হত্যা করতাম না। চার বছরের মাথায় মুক্তিযুদ্ধের বিভীষণরা ক্ষমতা দখলের রক্তয়ী হত্যালীলায় মত্ত হতো না। পাঁচ বছরের মাথায় পরাজিত রাজাকার-আলবদররা দাঁপিয়ে বেড়াতো না। এক দশকের মাথায় মোটা দাগে জাতিটা দ্বিখণ্ডিত হতো না। দেড় দশকের মাথায় ‘মুক্তিযোদ্ধা ছিলাম’ বলতে লজ্জা পেতো না। দুই দশকের মাথায় মুক্তিযুদ্ধের কাঠের পুতুলকে প্রাণ সঞ্চার করে ‘ডামি মহানায়ক’ বানাতো না। আড়াই দশকের মাথায় মুক্তিযুদ্ধকে ‘পুরোনো প্যাঁচাল’ বলে আঁস্তাবলে ছুড়ে ফেলা হতো না। তিন দশকের মাথায় সরাসরি রাজাকার-আলবদররা তখতে তাউসে বসে মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধা, স্বাধীনতা, সেক্যুলারিজম, আর লাখ লাখ নরনারীর আত্মত্যাগের পশ্চাৎদ্দেশে লাথি মেরে ইতিহাস ভুলিয়ে দিতো না। আমি বিশ্বাস করি যারা সে সময়ে কোলাবরেটর হতে পেরেছে তারা দেশে থাকতে পেরেছে। আপোস করে থেকেছে, (শিক্ষিতজনদের কথা বলছি) যারা মরতে মরতে অবশিষ্টটুকু ভারতে পালিয়েছে, তারা যুদ্ধ করেছে। যারা প্রাণকে তুচ্ছ করতে শিখেছে, তারা যোদ্ধা হতে ভারতে গেছে। পালিয়ে পালিয়ে দেশের ভেতর যুদ্ধ করেছে। যারা বুদ্ধিমান তারা মরতে চায়নি। আবেগকে বশ করে বাস্তবজ্ঞান সম্পন্ন হয়েছে। তারা দেশে থেকে কোলাবরেটর হয়েছে। দালাল হয়েছে। দালালরা ক্ষমতা দখল করার পর দালাল থেকে ‘মানুষ’ হয়েছে। সেই মানুষেরা এখন ক্ষমতার আগাপাশতলা আলোকিত করে ইতিহাস নির্মাণ করছেন। বিকৃত, খণ্ডিত, ভগ্ন, পরিত্যাক্ত বেজন্মা ইতিহাস। এ জাতির সিংহভাগকেই আমি দালাল বলছি, কোলাবরেটর বলছি, বেজন্মা বলছি। কারণ তারা জন্ম ইতিহাসকে সন্দেহ করেছে, অবিশ্বাস করেছে, পরিত্যাগ করেছে। প্রতিবাদ করেনি। প্রতিরোধ করেনি। আর সে কারণেই তিরিশ লাখ শহীদের সঙ্গে এই জাতি বেঈমানি করেছে। আর তাই কমবেশি প্রতিটি শিক্ষিত বাঙালিই এক একটি আঁস্ত স্কাউন্ড্রেল। ইতিহাসের বর্জ্য।
মেহেরপুর-বেতাই সীমান্তে আমি দেখেছি, সেই ১১ বছর বয়সে দেখেছি, বাঙ্কারে বাঙ্কারে দেখেছি একএকটি টিমে ২০ জন সাধারণ মানুষের সঙ্গে একজন বিডিআর (তৎকালীন ইপিআর)। ২৫/৩০ জন সাধারণের সঙ্গে একজন সেনা সদস্য। ৯০/১০০ জন মুক্তিযোদ্ধার নেতৃত্বে একজন ক্যাপটেন বা লেফটেন্যান্ট। আমি দেখেছি ফ্রন্ট লাইনের একেবারে সামনে কাছা দেওয়া কৃষকের ছেলে। পরের ব্যাকআপে কলেজ পড়ুয়ারা। তারও পেছনে সেনা-বিডিআর বা আর্মড ফোর্স। এবং এদের সবাইকে ব্যাকআপ দিচ্ছে আর্টিলারি নিয়ে ভারতীয় সেনা। আনুপাতিক হিসাবে হাজার বিশেক বাঙালি সেনা/বিডিআর/পুলিশদের সঙ্গে সম্মুখ আর গেরিলা মিলিয়ে লাখ দুয়েক মুক্তিযোদ্ধা। গড় করলে ২.০০ = ০.০০২০! এখন দেশ-সমাজ-ক্ষমতা-ইতিহাস বেদখল হওয়ার পর শুনছি, দেশ স্বাধীন করেছে আমাদের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী। ব্রাভো!
চতুর্দশ শতক থেকে উনবিংশ শতক জুড়ে ল্যাটিন আমেরিকার দেশে দেশে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে। ইনকা সভ্যতার ধারক ইন্ডিয়ানরা যুদ্ধ করেছে স্প্যানিশদের বিরুদ্ধে, ইংরেজদের বিরুদ্ধে, ফরাসি আর পর্তুগিজদের বিরুদ্ধে। পুরোটা উনবিংশ এবং বিংশ শতক জুড়ে কালো আফ্রিকানরা সাদা ইউরোপীয়দের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে। মাতৃভূমিকে মুক্ত করেছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগুনে পুড়ে পূর্ব ইউরোপীয়রা পুঁজিবাদ আর সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে স্বাধীন হয়েছে। বিংশ শতকের মাঝামাঝি এশিয়া-পূর্ব এশিয়ার দেশে দেশে মুক্তিযুদ্ধ সগৌরবে জয়ী হয়েছে। ফ্রান্স, ইংল্যান্ড, ইতালি, পর্তুগালের নিগড় থেকে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছে। এইসব একএকটি সংগ্রাম, একএকটি যুদ্ধ বছরের পর বছর ধরে স্বাধীনচেতা মানুষ তৈরি করেছে। আত্মমর্যাদাশীল জাতি তৈরি করেছে। এরা কেউ, হ্যাঁ এরা কেউই তাদের জন্মইতিহাস কলঙ্কিত করেনি। সন্দেহ করেনি। অস্বীকার করেনি। বেজন্মার মতো জন্ম নিয়ে তামাশা করেনি।
কিন্তু এই বাংলা করেছে। এই বাঙালি করেছে। আর সে কারণেই এই বাঙালিকে তার সূর্যসন্তানদের আত্মবলিদানকে শ্রদ্ধা করার জন্য নতুন প্রজন্মকে করজোড়ে অনুরোধ করতে হয়। কখনো বা আইনি তকমা দিতে হয়। মনে করিয়ে দিতে হয়, তাদের পূর্বপুরুষরা একদা অকাতরে প্রাণ দিয়েছিল। কষ্ট চেপে মনে করাতে হয় তাদের পূর্বপুরুষদের অকাতরে প্রাণদানের বেদিতেই আজ অবশিষ্টদের কতল করা হচ্ছে। তা না হলে নতুনরা বিস্মৃত হয়। দূরবীন দিয়ে চেনাতে হয়, ‘দেখো এ নয় ও যুদ্ধ করেছিল’! এ নয় ওর নেতৃত্বে যুদ্ধ হয়েছিল!
এখন আমরা স্টুপিড-স্কাউন্ড্রেল মেনে নেয়ার দলরা যে রেজিমে বাস করছি তারা কেউ মুক্তিযুদ্ধ করেনি। যৌবনের তরঙ্গে গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসিয়েছিল মাত্র। কারণ কোনো মুক্তিযোদ্ধা তার জন্ম জঠোরকে অস্বীকার করতে পারে না। আমাদের ‘ভেদবুদ্ধিহীন বোকা আত্মবলিদানকারী মুক্তিযোদ্ধারা’ আমাদেরকে একটা স্বাধীন ভূখণ্ড দিয়েছিল। সেই ভূখণ্ডে এখন যারা শাসন করছেন, হোক না তার নাম জিয়া-এরশাদ-খালেদা-নিজামী এরা কেউ মুক্তিযুদ্ধ করেনি। হয়তো যুদ্ধ করেছে মাত্র সেনার চাকরির নিয়মে (সেনাকে বেতন-ভাতা দেওয়াই হয় যুদ্ধ করার জন্য)। এরা বাংলাদেশটাকে জন্মইতিহাসহীন ‘জারজ’ বানিয়েছে। সেই জারজত্বকে স্থায়ী করার জন্য একের পর এক প্রজন্ম বানিয়েছে। তারা আধুনিক। স্পার্ম আর ডিম্বাণুর জায়গট ফরমেশন বোঝে না। শুধু বোঝে কম্মটি টেস্ট টিউবেও হয়। এই আধুনিক প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধ মানে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা। লাখ লাখ কৃষক-শ্রমিকের সন্তানদের আত্মত্যাগ অ্যামেচার ডিজাস্টার। আমি জন্মজন্মান্তরবাদে বিশ্বাসী নই, হলে বলতাম, হে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের শহীদ সূর্যসন্তানরা পরজন্মের সময় এসেছে। উঠে এসে আমাদের অপবিত্র পাপবিদ্ধ সর্বশরীরে থু থু দিয়ে যাও, আমরা স্বাধীনতা ‘ভোগ’ করছি বেজন্মা ইতরের মতো, দাম না চুকিয়েই !!
লেখাটির বিষয়বস্তু(ট্যাগ/কি-ওয়ার্ড): মুক্তিযুদ্ধ ;
প্রকাশ করা হয়েছে: মুক্তিযুদ্ধ, স্মৃতিকথা বিভাগে । সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জুন, ২০১০ ভোর ৪:০২ |

এই বিজয়ের মাসে আরও বেশি এই রকম লেখা আশা করছি আপনার থেকে।


শুধু নিজেকে মনে করিয়ে দিচ্ছি-
অর্জন তো করেনি, জন্মসূত্রে যা পেয়েছো হেলায় ধ্বংস করো না। জন্ম-জন্মান্তরের ফিরে পাবে নাপ্রিয় পোস্ট।
লেখক বলেছেন: এই ধরণের লেখাগুলো অনেক জমে আছে। টাইপের অলসতার জন্য দেওয়া হয় না। ভাবছি এখন থেকে দিতেই থাকব।কাল আর একটা দেব।
ধন্যবাদ শামীম।

লেখক বলেছেন: “যুদ্ধ করেছে মাত্র সেনার চাকরির নিয়মে (সেনাকে বেতন-ভাতা দেওয়াই হয় যুদ্ধ করার জন্য)”চান্দু! এই লাইনটা পড়তে ভুলছেন? তাই তো কই দূর থিকাই গন্ধ পাইতেছিলাম! আইসা দেহি মরা শকুন আয়া পরছে!বেতনের লাইগ্যা যুদ্ধ করছে কে কইল? বলা হইল তাদের বেতন দেওয়া হয় যুদ্ধ কইরা দেশ রক্ষার জন্য। তাদের সাথে বিনা পয়সায় বিনা স্বার্থে যুদ্ধে যাওয়া কৃষকের কথা কওয়া হইছে।
ভাঙ্গা পেন্সিল বলেছেন: একটা কথা আমার সবসময়ই মনে হয়, কেউ হয়তো বলবে আমি মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে, কিন্তু তারপরও আমি সন্দেহ পোষণ করবোই যে এমন কোন মাপকাঠির ভিত্তিতে মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্য থেকে কয়েকজনকে বিশেষ মর্যাদা দেয়া হয়েছে…বীরশ্রেষ্ঠ পদক দেয়া হয়েছে, যেখানে একজন সিভিলিয়ানও বীরশ্রেষ্ঠ হতে পারেনি!! সাধারণ মানুষ কি তবে যুদ্ধ করেনি? আর জীবনের ঝুকি নিয়েই সবাই লড়েছিল, কেউ বেঁচে ফিরেছেন, কেউ শহীদ হয়েছেন। তাহলে কেন এদের মধ্যে বৈষম্য করা হলো? বীরশ্রেষ্ঠ, বীরপ্রতীক এসব সম্মান দিয়ে কি স্পটলাইটের বাইরের মুক্তিযোদ্ধাদের তামাশা করা হলো না?
এখন তাই মর্যাদাপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধারা ঋণখেলাপির তালিকায়, আর ঠ্যাংকাটা মুক্তিযোদ্ধা রিকশা চালায় দেখে পুরো যুদ্ধ নিয়ে আমরা নতুন প্রজন্ম ব্যাপকই কৌতুক অনুভব করি
লেখক বলেছেন:
দুঃখটা এখানেই! যে চাষার ছেলেগুলো হাসতে হাসতে মরল তাদের চোখের সামনে থেকে যুদ্ধজয়ের কৃতিত্ব ছিনতাই হয়ে গেল। তারা আর খেতাবের জন্য মনোনিত হলো না।
রোবট রাজকন্যা বলেছেন: আমাদের ব্যর্থতা। আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের তাঁদের প্রাপ্য সম্মান দিতে পারিনি। আমরা আমাদের স্বাধীনতার মূল্য বুঝিনি
।
একটা বইয়ে পড়েছিলাম, কোন এক ব্রিটিশ তরুণী বাংলাদেশে ওয়ার সিমেট্রিতে আসতে চায়… তাদের ওয়ার হিরোদের সম্মান জানাতে । অথচ তাঁদের যুদ্ধ ছিলো অনেকটা ঔপেনিবেশিক।
আর আমাদের পূর্বপুরুষরা যুদ্ধ করেছেন, দেশ মাতৃকাকে রক্ষার জন্য। হানাদার প্রতিরোধের জন্য। সেই নিশর্ত আত্মত্যাগীদের সম্মানে আমরা কি করেছি ভাবলে শুধু লজ্জাই পেতে হয় ।
লেখক বলেছেন: আমরা এখন এটা করতে পারি যে আমাদের পরবর্তি প্রজন্ম যেন আমাদের মত হিপোক্র্যাট না হয়।
ধন্যবাদ আপনাকে।

নিয়তিকে আর দোষ দিতে ভালোলাগেনা।
কোথায় যেন পড়েছিলাম …
প্রত্যেকে তার অবস্থানের জন্য নিজেই দায়ী।যে অসহায়ত্ব থেকে লিখেছেন তার দংশনেই নিজেই কাতর হই প্রায়’ই …
প্রায় ৩০ বছরের একটা বিশাল বেজন্মা জাতিতে পরিনত হয়েছি আমরা (কিম্বা সুচতুরভাবে “করা” হয়েছে আমাদের) …
এর কোন’ও তরিৎ সমাধান আছে কি ?হয়তো নেই ?
হয়তো আর’ও ৬০ বছর লেগে যাবে এই বেজন্মত্ব কাটাতে কিম্বা আর’ও বেশি …
কিন্তু যদি আপনি, আমি, আমরাঃ মাঠে না নামি তো … গলা না উচাই ..
ফাকা মাঠে বেজন্মা তৈরীর কারবারীরা কিন্তু ঠিক’ই উৎপাদন করে যাবে …
ভেবে দেখুন আর’ও কি একটা আস্ত অন্ধ প্রজন্ম আস্তে যাচ্ছে ..
যারা কখন’ও এই ঠ্যাংকাটা মুক্তিযোদ্ধা গুলোকে’ও দেখতে পারবেনা …
আমরাই শেষ প্রজন্ম যারা ভুলাভাল দেখে’শুনে’ও কাছাকাছি সত্যটাকে উপলব্ধি করতে পারি … তারা’তো তাও পারবেনা ।
তখন দেখবেন .. আদৌ সেই পয়েন্টে আর ফিরে আসা হবে না যেটার জন্য আপনার আমার, আমাদের এই আহাজারি …
চলেন সবাই শেষবারের মত একটু মরিয়া হই ..
.
লেখক বলেছেন:
মনির। আপনার মন্তব্যের বিষয়ে কাল লিখব।
আজ আর ভাল লাগছে না।
ধন্যবাদ রইল।
ঊশৃংখল ঝড়কন্যা বলেছেন: অসম্ভব গনগনে একটা পোস্ট! ক্ষোভটা বোঝা যায় আর তার পেছনের কারনটাও বেশ স্পষ্ট!
“এই জনপদের বাঙালিরা সম্ভবত বিশ্বের একমাত্র জাতি যারা ত্রিশ লাখ মানুষের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার মাত্র তিন/চার বছরেই শহীদদের সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে। যুদ্ধের সহায়ককে নিয়ে তামাশা করেছে। যুদ্ধের নেতার নেতৃত্ব নিয়ে সন্দেহ করেছে। অবিশ্বাস করেছে। একসময় সন্দেহগুলো পাকাপোক্ত হয়ে সিদ্ধান্তে দাঁড়িয়ে গেছে। এই জাতি তার বীরাঙ্গনাদের নিয়ে অশ্লীল মস্করা করেছে। নয় মাসের যুদ্ধকে চাপিয়ে দেওয়া বলেছে। পবিত্র ভূমি (!) পাকিস্তান ভাঙার জন্য ভারতকে শত্র“ বলে কাঠগড়ায় তুলেছে। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকে ভারতের ষড়যন্ত্র বলেছে। শেখ মুজিবকে ‘২৫ মার্চের স্কেপিস্ট’ বলেছে। ‘পলায়নপর সুবিধাবাদী’ বলেছে। পরে ভর্ৎসনা করেছে। জাতির পিতা বিষয়ে বেশুমার মস্করা করেছে। বঙ্গবন্ধুর চারপাশের বর্ণচোরাদের অনুগুণ্ঠন খুলে গেছে। একসময় মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় তাকে সপরিবারে হত্যা করে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে পাওয়া স্বদেশ কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুঁকছে। অতঃপর নতুন প্রজন্ম বলতে শুরু করেছে, ‘গন্ডোগোলের বছর’। নতুন প্রজন্ম একাত্তরের সেই আত্মবলিদানকে বলেছে, গেঁয়ো কিছু মানুষের আহম্মকি!”
আপনার যুক্তিশীল আর তীক্ষ্ণ খোঁচাগুলো যদি এই নোংরা মানুষগুলো গায়ে যন্ত্রণা হয়ে বিঁধতো তাহলেও যদি ওদের বিবেকে একটু ধাক্কা লাগতো!!! ঘৃণা, লজ্জ্বা আর গনগনে অনুভূতি নিয়ে পোস্ট পড়ে বিদায় নিচ্ছি। শুধু বলতে পারি… “আমি সত্যিই খুব দুঃখিত!”
লেখক বলেছেন:
ঊশৃংখল ঝড়কন্যা ,
আপনার চমৎকার মন্তব্যটি নিয়েও কাল আলোচনা হবে।
আজ খুব ক্লান্তি লাগছে।
ভাল থাকবেন।
শেরিফ আল সায়ার বলেছেন: হে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের শহীদ সূর্যসন্তানরা পরজন্মের সময় এসেছে। উঠে এসে আমাদের অপবিত্র পাপবিদ্ধ সর্বশরীরে থু থু দিয়ে যাও, আমরা স্বাধীনতা ‘ভোগ’ করছি বেজন্মা ইতরের মতো, দাম না চুকিয়েই !!
এর বেশী ভালো কোন মন্তব্যের ভাষা আমার জানা নেই। অসাধারণ লেখা। মুক্তিযুদ্ধ বাংলার ইতিহাস। সেই ইতিহাস নিয়ে ছিনিবিনি সহ্য হয় না। আজও এ জাতি ইতিহাস নিয়ে টানাটানি করে। একটি মাত্র স্ট্যান্ডে এ জাতি দাড়াতে পারে নি। কোনো একটি বিষয়ে এ জাতি যুদ্ধের পর একটি বারের জন্যও একই কাতারে দাড়াতে পারেনি। অনেকে হয়তো বলবে, সৈরশাসক এর বিরুদ্ধে আন্দোলনের জন্য মাঠে এক সাথে এ জাতি ছিল। কিন্তু আমি বলবো সে দাবি এখন আর করাও লজ্জাজনক। কারণ, যাকে সৈরশাসক বলে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের আদায় করা হলো। সেই সৈরশাসক এখন মহাজটের অংশীদার। সুতরাং বারবার এ জাতি কলংকিত হচ্ছে।
বাংলার ইতিহাস এখন ক্রন্দন শুরু করছে। তাই ইতিহাস এখন পুনরায় জন্ম চায় সে সব বীরদের যারা স্বার্থহীনভাবে অকপটে নিজের প্রাণকে বিসর্জন দিয়ে গেছেন! ইতিহাস এখন চায় সেই সব বীরদের…….
ধন্যবাদ।
লেখক বলেছেন:
আমাদের এখন কি করতে হবে আমি জানি না। শুধু জানি এই চলমান অস্থির দশা থেকে মুক্তি চাই। এই দমবন্ধদশা থেকে বাঁচতে চাই। আর সেই বাঁচার আকুতি কারো কর্ণকূহরে পৌঁছাবে না,যদি আমরা জোরে চিৎকার না করি!
এখন চিৎকার করে বলার সময় এসেছে মানুষ…কাতারবদ্ধ হও!! আগুয়ান হও!!!

লেখক বলেছেন:
এগার-বার শ’ বছর আগেও এমনি ছিল পরাজয় আর গ্লানির ইতিহাস। আমাদের বেকুব অথবা মতলববাজ ইতিহাসবেত্তারা তাদের মত করে গৌরবের পলেস্তারা মিশিয়ে যা নির্মাণ করেছে তাই নিয়েই আমাদের মেকি গর্ব! বাঙালি কোন কালেই স্বশাসিত ছিল না। এখনো না।
আগামী কালের ইতিহাস কারা নির্মাণ করবে তার ওপর নির্ভর করবে,সেই ইতিহাস গৌরবের হবে, না পরাজয়ের হবে !!
ভেতরে ভেতরে সাজসজ্জা চলছে ঠিকই, কিন্তু বিস্ফোরণ কোথায় ? তবে আমাদের বিশ্বস রাখতে হবে দ্বান্দ্বিকতার নিয়মে। একদিন ঝড় উঠে পৃথিবী আবার শান্ত হবে।
মনজুরুল হক বলেছেন:
@মনির হাসান।সামনে কি কি পথ খোলা আছে?যারা দেশের ক্ষমতাকেন্দ্রে বসে আছে তারা গতায়ূ,অন্তত ভাল কিছু করার ক্ষমতা আর তাদের নাই। যারা ক্ষমতাকেন্দ্রে যাবার লাইনে আছে তারাও দেশের শত্রুর কাছে নিজেদের বিক্রির জন্য বাজারে উঠে বসে আছে। তাহলে কি উপায়?
হয় নতুন সঙ্ঘ গড়ে তুলতে হবে,অথবা প্রচলিত সঙ্ঘগুলো যেন জাতির সাথে বেঈমানী করতে না পারে সেজন্য “ভ্যানগার্ড” হতে হবে। কারা করবে? আমরা এবং আমাদের বর্তমান প্রজন্মই করবে। তারা যেখানে রেখে যাবে সেখান থেকে তার পরের প্রজন্ম শুরু করবে। তার পর এগুতেই থাকবে।
আমি এভাবে বিশ্বাস করি। সঙ্গ দিন। সঙ্ঘবদ্ধ হোন। যুথবদ্ধ হোন। আগুয়ান হোন।
জয় অনিবার্য।
“এখন দেশ-সমাজ-ক্ষমতা-ইতিহাস বেদখল হওয়ার পর শুনছি, দেশ স্বাধীন করেছে আমাদের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী। ব্রাভো! “বাহ ! এই তথ্য জানা ছিল না তো… জানানোর জন্য অনেক ধন্যবাদ।কিন্তু ভিডিও ফুটেজ গুলি কি তাহলে মিথ্যা ? যেখানে দেখতে পাই সাধারণ কিছু মানুষদের…
শ্লোগান হোক একটাই, ” মাঠে হবে দেখা”।
লেখক বলেছেন:
যে নারী তার কণ্টাকীর্ণ টালমাটাল বৈরি অবস্থানে থেকেও বলতে পারেন…”মাঠে হবে দেখা” তাকে স্বশ্রদ্ধচিত্তে স্যালুট! মনে পড়ে গেল নেপোলিয়ান বোনাপাটের কথাঃ
“তোমরা আমাকে কয়েকজন আদর্শ মা দাও, আমি তোমাদের সর্বশ্রেষ্ঠ জাতি উপহার দেব”।
সেই কবেকার এক গুমোট ঝিমধরা ফাগুনে আমরা মাঠ থেকে ফিরেছিলাম! আর আমাদের মাঠে ফেরা হয়নি! আর আমাদের সত্যের মুখোমুখি হওয়া হয়নি! আমরা এখন জড়াজড়ি করে জীবভৌত ভালবাসা-ভাল থাকার মিছে কসরৎ করে যাচ্ছি! অথচ আমরা মাঠ না ছাড়লে মাঠই আমাদের সেই সুন্দর সকালে পৌঁছে দিত, যেখানে যাওয়ার জন্য আমরা সেই সাতসকালে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে বেরিয়ে পড়েছিলাম।
আপনার এই আহ্বান অনুপ্রাণিত করুক ঘরকুনো স্কেপিস্ট আর স্নবিশদের।তারা উঠে দাঁড়াক আবার ঋৃজু ভঙ্গিতে। ছুটুক সামনের আলোতে……..
মনজুরুল হক বলেছেন:
@ঊশৃংখল ঝড়কন্যা ।
“ঘৃণা, লজ্জ্বা আর গনগনে অনুভূতি নিয়ে পোস্ট পড়ে বিদায় নিচ্ছি। শুধু বলতে পারি… “আমি সত্যিই খুব দুঃখিত!”
আপনার এই কথাটা যদি লাখো মানুষের কণ্ঠে প্রতিধ্বনিত হতো,যদি সেই মানুষেরা নিজ নিজ অবস্থানে নিজের অধিকারের বিষয়গুলো বুঝত,তাহলে সম্ভবত আমরা ইতিহাসের এমন নির্মম নিষ্ঠুর কানাগলিতে অন্ধের মত পথ হাতড়ে মরতাম না!
যাপিত জীবনে মাত্র কয়েক মাসের স্বপ্রণোদিত ভালবাসা,কয়েক দিনের ভাল লাগা মেশানো শ্রদ্ধাবোধ,কয়েক মিনিটের জৈবিক প্রেম,আর কিছুকালের বিত্ত-বৈভবের বাইরে যে অফুরন্ত সময়,সেই সময়টা কেবলই পরাজয়ের গ্লানিতে ভরা ! কেবলই পিছু হটে অসুন্দর কে জায়গা করে দেওয়া!
এই অবস্থানে আপনার ভেতরে ‘গনগনে অনুভূতি’র সঞ্চার নিঃসন্দেহে শ্রদ্ধার্ঘ্য।

আরো বেশি হতাশ হই আমার আশে পাশের প্রিয় মেধাবী বন্ধুদের কথা শুনলে । নিজেদের ইতিহাস ভেবে দেখার নূন্যতম সময় নেই । সবাই যার যার ক্যারীয়ার নিয়ে ভিষন ব্যাস্ত । মাঝেমাঝে রাজনীতি নিয়ে চায়ের কাপ হাতে আলোচনায় তাদের একটাই জ্ঞান গম্ভির সিদ্ধান্ত “সব পলিটিশিয়ানগুলিরে বঙ্গোপসাগরে ভাসায় দেয়া দরকার”.. সিদ্ধান্ত জানিয়েই নিজেদের কর্পোরেট ভাবনা শুরু আবার ।যে প্রজন্ম নিজেদের জন্ম-ইতিহাস নিয়ে ভাবনার চাইতে কোন রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় আসলে নিজের ব্যবসা/চাকরীর অবস্থার উন্নতি হবে চিন্তা করতে বেশি স্বাচ্ছন্দবোধ করে ..তাদের কাছে আর যাই কিছু হোক ‘গনগনে অনুভূতি’ আশা করা যায় না
লেখক বলেছেন:
আপনার প্রিয় মেধাবীদের দোষ না। ওদেরকে কোর্পরেট ম্যাকানিজমই ওগুলো শিখিয়েছে। ওগুলো না শিখতে পারলে নাকি তারা ফাস্টলাইফ এ্যাক্যুয়ার করতে পারত না !! এমনটাই শুনি”নিও আরবানদের” মুখে!!
তবে আমি এখনো আশাবাদী। “গনগনে অনুভূতি” কারো না কারো মধ্যে থাকতেই হবে।
দ্বান্দ্বিকতার নিয়মই এটা। “ইউনিটস অব অপোজিশন”। বিশাল হতাশার মাঝে দ্বান্দ্বিক নিয়মেই আশার আলো জ্বলবে।
ক্যামু অথবা জ্যাঁ পল সার্ত্র ঠিক মনে নাই একজন…বলেছিলেন………”আধুনিক হোমো স্যাপিয়েন্স মাত্র তিনটি কাজই করতে পারে…ভোজন/রমণ/সংবাদ পত্র পঠণ !!
ভাল থাকবেন। শুভেচ্ছা।
কামাল উদ্দিন ফারুকী জুয়েল বলেছেন: বংবন্ধুর করুণ প্রয়াণ তার নিজের কিছু ভুল্ভ্রান্তির ফলাফলও বটে-
১। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে না পারা।
২। চাটুকার ও সুযোগসন্ধানীদের পাল্লায় পড়া।
৩। যে গণতন্ত্রের সংগ্রামে জীবনপাত করেছিলেন সেটাকেই উপড়ে ফেলা।
৪। ফ্যসিবাদী কায়দায় রাজনীতি ও প্রশাশন চালানো।
ইত্যাদি।
তিনি দোষেগুনে ভরা একজন মানুষই ছিলেন। শুধুই সাদা কিংবা কালো চোখে দেখলে কি তার মূল্যায়ন হয়?
নাসিমূল আহসান বলেছেন:
আমি কিন্তু অন্যরকম ভাবি।
ভাবি এবং স্বপ্ন দেখি : কিছু তরুনের মুখ…
যারা দেশকে ভালোবাসে। আবার যদি প্রয়োজন হয় এবং আমি জানি সে প্রয়োজনটা খুব তাড়াতাড়ি হবে…
আমরা কেউ কেউ আবার রাইফেল কাঁধে দাড়াতে পারবো। দাড়াবো। দাড়াবো। আমরা পারব।
লেখক বলেছেন:
আশাবাদ মানুষকে আগামীর পথ দেখায়। আমরা পথে এবং আলোতে দাঁড়াতে চাই।
অ.ট. অনেক দিন পর ? কোন ব্যক্তিগত সমস্যা ? সব ভাল তো ? শুভেচ্ছা।
১. ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ১:০৯