০২ রা ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:০২ |
একদিন আমি ও আমরা
পেট্রোল ঢেলে সব অনাচার জ্বালিয়ে দেব।
লাল বাড়ি লাল খাতা কালো গরাদ
কালো কাপড় সাদা হ্যান্ডকাফ
ডান্ডাবেড়ি কারবাইন আর বারুদঠাসা
ক্যালিবার একসাথে করে জ্বালিয়ে দেব,
নিশ্চিত যেন, পেট্রোল ঢেলে সব জ্বালিয়ে দেব।
বুনো আইন খোঁড়া যুক্তি
মোটা বই ছোট পঙতি
সাদা সার কালো বীজ
অখন্ড সময় খন্ড আল
ভন্ড আশার বিদির্ণ কাল।
চিকন চালের সাদা সাদা ভাত
প্রতিশ্রুতিভরা লোমশ হাত
শক্ত নখর তীক্ষ্ণ দাঁত ছেঁড়া মাংশ
শ্বাপদশংস নদী কংস সাদা হংস
লুট হয়ে যাওয়া আমার অংশ
সংশয়াবেগে ক’রে নির্বংশ
সবই আমি জ্বালিয়ে দেব, দেখে নিও
ঠিক পেট্রোল ঢেলে জ্বালিয়ে দেব।
মাথায় আমার ঘুণ ধরেছে
উপচানো ব্যথা বিবশ করেছে
দুচোখে আমার ঘোর লেগেছে
গোলাপী আশা ধূসর হয়েছে
মেকি ভালবাসা নীল করেছে
অধরে আমার রং লেগেছে
সোনামাখা রং ফিকে হয়েছে
ভয়ে ছিলে তুমি চেয়ে বসি পাছে
আমার কষ্ট আমাতেই আছে
আহা কি কষ্ট – কি ভাল কষ্ট!
সব কষ্ট গত হয়ে যাবে প্রতিক্ষার বেলা
শেষ হয়ে যাবে পেট্রোল ঢালা আগুনে।
আমি এখন পেট্রোল ঢেলে সব জ্বালিয়ে দেব,
আমি ও আমরা একদিন জ্বলন্ত সব আগুন
পেট্রোল ঢেলে নিভিয়ে দেব।
লেখাটির বিষয়বস্তু(ট্যাগ/কি-ওয়ার্ড): পেট্রোল ;
প্রকাশ করা হয়েছে: এলেবেলে, কবিতা বিভাগে । সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ২:১৩
লেখক বলেছেন:
গ্রেট কমেন্ট! নিবিড় ক্রমশ: অভিজ্ঞতার লিটমাসে লাল হচ্ছে! ব্রাভো!!

লেখক বলেছেন:
নিশ্চই।শুরু করা আশু কর্তব্য না?

লেখক বলেছেন:
হু।আইল।চন্দ্রবিন্দু পড়ে গেছে।

লেখক বলেছেন:
ধন্যবাদ শামীম। মন্তব্যে উচ্চাকাঙ্খা।

তারপর একসময় সব কিছু ছাই হলে, সব আগুন নিভে গেলে
জেগে উঠবে আমার সেই সবুজ চন্দনপুর, আমার আর্কেডিয়া।
শরীরের সব লাল ঢেলে বানানো সূর্যের শরীর বেয়ে
পূনর্বার মানুষ হয়ে জন্ম নেব।
লেখক বলেছেন:
সেই যে গুহামানব,নিয়নডার্থাল কাল,সেই থেকে আগুনেই আমাদের মুক্তি! দাউ দাউ করা আগুনে যেমন পুড়ে যাচ্ছে আমাদের কাল,স্বপ্ন,আশা-ভরসা..তেমনি আমাদের বাঁচার পথও সেই আগুন।
অস্তাচলের দুর্গগুলো যদ্দিন না জ্বালাতে পারব ততদিন মুক্তি নাই! পুনর্বার জন্ম নেওয়ার পূর্বশর্ত বর্তমানের মৃত্যু! বর্তমানকে জ্বালিয়ে দেওয়া ! আমরা কি জ্বালাতে বা জ্বলতে ভয় পাচ্ছি? ভয় নেই কমরেড! আগুন কখনো একা জ্বলেনা…সব্বাইকে সাথে নেয়।আমি তৈরি!!
লেখক বলেছেন:
আশার বসতি গড়ে
আশায় দিন গুনে চলি
চোখবাঁধা বলদের মত…….
মনজুরুল হক বলেছেন:
কম তো পুড়লাম না বিমা! তিন তিনটা প্রজন্ম ধরে জ্বলছি।
আর কত? এবার জ্বালানোর প্রতিজ্ঞা দরকার।
আমার এই আমাদের ন্যাকা ন্যাকা কথা আর ভাল লাগে না……..

বারুদ নিজে পোড়ে যতটুকু তার বেশী কতটুকু পোড়ায়?সবাই শুধু বারুদের মত জ্বলছে………
একসাথে জ্বলে উঠার দিন এসে গেছে।শুভ এই প্রতিজ্ঞা ……
সফল হোক।
শুভেচ্ছা।
শুভকামনা।
লেখক বলেছেন:
“সবাই শুধু বারুদের মত জ্বলছে………
একসাথে জ্বলে উঠার দিন এসে গেছে।”
অসাধারণ বলেছেন।সাহস সঞ্চারিত হোক কাপুরুষে আর ঘরকুনোতে।
ভাল থাকুন।

প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম আমারা আগুন বুকে নিয়ে জ্বলছি … কাজের কাজ কতটুকু হয়েছে ?
লেখক বলেছেন:
“আন্ধা কানুন” বা “চীফ মিনিস্টার” টাইপের
ফিল্ম ছাড়া আমাদের এই রাক্ষসপুরির নেতা-নেত্রীদের
বদলানোর উপায় নেই। একটা মরলে আর একটা গজাবে!
এখানে ওখানে আগুন দেওয়া ছাড়া পথ নাই। আগুনকে ওরা বড় ভয় পায়।আগুনেই ওদের ক্ষয়।
লেখক বলেছেন:
এই শব্দটার মানে কি এই রকম….”জ্বলে উঠব না কেন?”
নতুন শুনলাম।ভাল লাগল। লাইনটার মানে জানাবেন?
শুভেচ্ছা।
লেখক বলেছেন:
আপনার মন্তব্যে অভিনন্দন।
ফেরারী পাখি বলেছেন: কবিতার কথা সবাই বলছে। আমিও বলি সিম্পলি অসাধারণ কাজ হয়েছে।
তার বাইরেও একটা অপ্রসঙ্গিক কথা বলি। একবার ইংরেজী পত্রিকার খবর হল পুলিশ ইজ পেট্রলিং অন দ্যা রোড।
তার অনুবাদ হল এরকম, পুলিশ রা ঢাকার রাস্তায় রাস্তায় পেট্রল ঢালিতেছে।
লেখক বলেছেন:
হা হা হা ! আপনি কি ‘ও’ কার নিয়ে সুক্ষ্ণ কারুকার্য করলেন? ‘ও’ কার না দিলেও চলে।তবে ‘নরম’ কথাটা যেমন কবিতায় এসে ‘নরোম’ হয়ে যায়..তেমনি।
যদি তা না বলে থাকেন তাহলে ওপরের লাইন ক’টি ইগনোর করবেন।
হুম। পুলিশদের আসলে আর কিছুই দরকার নেই। এক ৫৪ ধারা দিয়েই ওরা আদম-হাওয়ার মিলন ঘটিয়ে বেড়াল পয়দা করে দিতে পারে..যেমন আমরা এখন হয়ে বসে আছি !!
লেখক বলেছেন:
“জ্বলি উধিম ন কিত্তই”…………
নুশেরা বলেছেন: দুর্দান্ত কবিতার পেট্রোলেরও দারুণ গুণ। আগুন জ্বালায়; আবার কবিতার শেষে এসে নেভায়ও।
অন্য কথা। মনজুরুলভাই, নামীদামী ব্লগারদের বেশীরভাগই আমার অপরিপক্ব ব্লগে আসেন না, এলেও মন্তব্য করেন না। অল্প কয়েকজন ব্যতিক্রম; আপনিও আছেন তাদের মধ্যে। এখন কথা হলো, আপনি নিবিড়ের গল্পের তিন পর্বই পড়েছেন, শেষ পর্বে দুবার মন্তব্য করেছেন। আর আমার সবেধন নীলমণি একখানা গল্প (এইসিমেট্রিক) পড়ে মন্তব্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েও আর পড়েননি (সম্ভবত); কারণ পাঠপ্রতিক্রিয়া পাইনি। কাঙালিনী সুফিয়ার কায়দায় বলছি, “এইডা আবার কোন্ বিচার!?!”
তোমার কথায় কষ্ট পেলাম নুশেরা! প্রথমত:আমি নামীদামী ব্লগার নই।আমি খুব অল্প যে কয় জনের ব্লগে যাই তার মধ্যে তুমি। তোমার ওই (এইসিমেট্রিক) লেখাটায় যে দুই লাইন লিখে আর যাওয়া হয়নি সেটা আসলে আমার মনেও নেই! যদিও উচিৎ ছিল কথা দিয়ে কথা রাখা।দ্বিতীয়ত:ওটাই তোমার একমাত্র গল্প সেটাও আজ জানতে পারলাম!তাছাড়া তোমার লেখায় এত বেশি কমেন্ট পড়ে যে আমার মনে হয় কোথায় কোন ফাঁকে লিখে আসব,তুমি হয়ত দেখতেই পাবে না!তৃতীয়ত:নিবিড় এর এই পোস্টে শুধু নয়,ওর অন্য পোস্টেও আমি মন্তব্য করেছি।ও খুব ভাল লেখে,কিন্তু কেন যেন আস্থার অভাব বলে সিরিয়াস লেখা বাদ দিয়ে অন্য কিছু লিখতে চায়। সেটাই ওকে আগে বুঝিয়ে বলেছি। একজন ভাল লেখককে তার শক্তির যায়গাটা ধরিয়ে দেওয়াটা আমার কাছে উচিৎ মনে হওয়ায় লিখেছি।ও তার যথাযথ মর্যাদাও দিয়েছে।ওর কবিতা যত ভাল,গল্প ততটা ভাল না হওয়ায় এই ট্রাঙ্গুলারে দুইটা কমেন্ট করেছি।
চতুর্থত:নুশেরা এই ব্লগে আমার একমাত্র বোন।ছোট বোন(এখানে মান্না দে’র গানটা এ্যাড হবে!)বন্ধু আছে,কিন্তু বোন তোএকজনই ।নুশেরা। এখন আমার ছোট্ট বোনটি….আর ঠোঁট ফোলায় না…ভাইয়ের এই অন্যমনষ্কতাটুকু ভুলে যাও।
আমার খুব মন খারাপ! ইত্যকার বিষয়াদি আলোচনার জন্যই সেদিন ম্যাসেঞ্জারে কথা বলতে চেয়েছিলাম।তুমি তো রা-কাটলে না! কি জানি হয়ত তোমার এই অভিমান আরো কাউকে ছুঁয়ে থাকতে পারে!
সংবেদনশীলতার বিষয়টা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না বলে সামান্য সামান্য বিষয়ে আবেগাপ্লুত হই! এরকম কথা আবার বললে দেখবে একদিন হুট করেই চলে যাব!
নার্ভের ওপর সারাজীবন এত অত্যাচার হয়েছে যে,এখন আর নার্ভ লোড নিতে পারে না।একেবারে ভেঙ্গেচুরে চুরমার হয়ে যায়।
পরিশেষে, ভাইকে ভুল বুঝতে হয় না।বিয়ের পর বোনকে হারাতে ভাইয়ের যে কি কষ্ট হয় সেটা বোনরা অনুধাবন করতে পারবে না।
ভাল থেক।

@ লেখক:’জ্বলি উধিম ন কিত্তই’ -এর সঠিক অর্থ দাড় করিয়েছেন আপনি (জ্বলে উঠব না কেন?)। এটি একটি উপজাতীয় ভাষা। কিন্তু কোন্ উপজাতীয় তা আমার ঠিক মনে নেই।অনেক আগের এক বইমেলায় কোন এক স্টল আমাদের গ্যাস বিদেশীদের হাতে তুলে দেওয়ার প্রতিবাদধর্মী বুকলেট বিক্রি করছিল। তাদের একটি পোস্টারে বিশাল করে লেখা ছিল – জ্বলি উধিম ন কিত্তই। অসাধারণ লেগেছিল লাইনটি।
লক্ষ্য করবেন, গ্যাস-এর ভলিউম বেশ বাড়িয়ে চুলায় প্রজ্জ্বলন্ত ম্যাচের কাঠি ছুড়ে দিলে হঠাৎ জ্বলে উঠা আগুনটিতে ‘ধুম’ করে একটি ধ্বনির জন্ম হয়। আমি ‘জ্বলি উধিম’ শব্দবন্ধটিতে অবিকল সেই ধ্বনিপ্রবাহটি শুনতে পাই। সেই থেকে আমার প্রতিবাদের ভাষার ভিতর যুক্ত হয়ে যায় – ‘জ্বলি উধিম ন কিত্তই’।
লেখক বলেছেন:
ভাষাটা কোন উপজাতিদের সেটা আমিও বুঝতে পারলাম না।আমি সাঁওতালদের এরকম কিছু ভাষা শুনেছি। যেমনঃ “উলগুলান”। অর্থাৎ
“বিদ্রোহ শুরু হয়ে গেছে, বা যুদ্ধ শুরু কর”। এই শব্দটা মহাশ্বেতা দেবী “বীরসা মুন্ডা”,”চোট্টি মুন্ডা ও তা রতীর”, “অরণ্যের অধিকার”
উপন্যাসে ব্যবহার করেছেন।
আমার খেরো খাতায় যোগ হলো এটা….”জ্বলি উধিম ন কিত্তই”।

লেখক বলেছেন:
আপনার কমেন্টের টাইমিং দেখে মনে হচ্ছে দেশের বাইরে থাকেন।
আমরা যারা দেশে থাকি তারা রোজ বহুবার এই ধরণের কথামালা ভেতরে ভেতরে আউড়ে চলি…আমরা যে কাল কেউটের ছোবলের
তলে দিন কাটাই………….
ধন্যবাদ।
আপনার লেখা কবিতার মাঝে এটা একেবারেই অন্যরকম…
এক ধাপ থেকে অন্য ধাপে গিয়েছে ভিন্ন মাত্রা নিয়ে।
শুভেচ্ছা !
লেখক বলেছেন:
আপনার মন্তব্যগুলো স্বতন্ত্র।
বিষয়ে গভীরে যেয়ে বুঝে আসা
অনুভব,অনুভূতি আর একাত্মতা।
এই গুণটা সবার মধ্যে থাকে না।
শুভেচ্ছা।
আশরাফ মাহমুদ বলেছেন: হুঁ। বাইরে থাকি।
গর্জে উঠুন, বিষদাঁত ভেঙে দিন।
লেখক বলেছেন:
সবাই তার নিজ নিজ অবস্থান থেকে গর্জে উঠুন।অন্ধকারের কি ক্ষমতা আলোকে ঠেকিয়ে রাখে?

লেখক বলেছেন:
ভাল লাগলে লেখকের ভাল লাগে ,
কিন্তু ভাল লিখেছি তা প্রমান হয় না।
লেখক বলেছেন:
ধন্যবাদ কাঁকন।

লেখক বলেছেন:
ভাল নেই। ভাল নেই। ভাল নেই। কেন? তা জানি না। আমার ব্লগলাইফ সম্ভবত খুব দ্রুত ফুরিয়ে আসছে! সময় হয়ে গেছে ফিরে যাওয়ার!!

তবে যেহেতু কবিতা ফলে কাব্য দাবীও ছেড়ে দিতে পারি না, সেক্ষেত্রে একটু স্লোগান/ইসতেহার ধর্মী বোধ হল, তবে তাও চলে কিন্তু কবিতায় সেটা অবশ্যই কবিতা হয়ে আসবে।লালবাড়ি লালখাতা ————অনুষঙ্গটা একটু গদ্যে বলবেন ?আগুন সখ্যতার জন্য +
মার্জনা করবেন। আমি কবি নই। গদ্যকার। তাই লেখা গদ্যধর্মী। কাব্য নিয়ে একেবারেই ভাবিত নই। বক্তব্যই প্রাধান্যে এসেছে। আসবে। তাতে যদি কাব্যমানে বিঘ্ন ঘটুক। কি জানাতে চাইছি সেটাই মূখ্য। কিভাবে জানাচ্ছি সেটা নয়। আপনার মতামতকে শ্রদ্ধা জানালাম।”আমার পেটে ক্ষুধা” এটা আমি সোজাসাপ্টা বলতেই সাচ্ছন্দ বোধ করি।
কাকশালিখচড়াইগাঙচিল বলেছেন: আমার একটি জিজ্ঞাসা’র জবাব কিন্তু বাকী আছে।
যাইহোক, আমি বিতর্কে যাব না। এই লেখাটা ত গদ্যে নয়, কাব্যে।
“আমার পেটে ক্ষুধা” এটা আমি সোজাসাপ্টা বলতেই সাচ্ছন্দ বোধ করি————–সরাসরিই ত বলতে হবে।
একটি পুরোনও এবং বিদ্যমান লাইনের উল্লেখ করছি।
পূর্নিমার চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি কিংবা শান্তির ললিত বাণী শুনাইবে ব্যর্থ পরিহাস…………….কঠিন, কঠোর গদ্যে আঘাত আন ————–এইগুলি কী সোজা সাপ্টা নয় এবং কবিতা নয়??
আমি এই বিষয়টাই বোঝাতে চেয়েছিলাম, বোধহয় পারিনি।
খবরের কাগজ, বক্তৃতা আর কাব্যে ত পার্থক্য থাকবেই, তাই না?
পাবলু নেরুদা/মায়োকোভস্কি ( এখন যাদের মনে পড়ল) কী সোজা কথাটা তথাকথিত কাব্যের রাস্তায় না গিয়ে কবিতা লেখেন নি?
যাইহোক, আপনার চেতনায় সমর্থন। বাতিল ধ্বংসে ধ্বংসের বিধান।
লেখক বলেছেন:
বাতিল ধ্বংসে ধ্বংসের বিধান।
শতেক কথার ভিড়ে এক এবং অকৃত্তিম কথামালা। সেলাম কমরেড!

ভাল বলেছেন। কবিরা বোধকরি ভালই বলেন। আমি কবিতা লিখি আমার মত করে। আটপৌরে। আবারো বলছি কাব্যমান নিয়ে আমি মোটেই চিন্তিত নই। বক্তব্যধর্মী কথা। একে কবিতা বলুন আর না বলুন দুই-ই সমান। আমি নাজিম হিকমতকেও এই “ধারা” মানা কবি মনে করি না। তবে এই ব্লগের অনেককেই “কবি” মনে করি। তারা দারুন লেখেন।
কবি না হলে আমার দলে! দল ভারী হলে মন্দ লাগে না। বাঙালিদের আসলে আলাদা করে কবিতা লিখতে হয় না। বাঙালিরা সুখে-দুঃখে যে বিলাপ করে তা-ই একধরণের কবিতা। ভুল বললাম কি?
কাকশালিখচড়াইগাঙচিল বলেছেন: ঠিকই বলেছেন। তবে আজকাল বড় বেশি ধৈর্যহীন মনে হয় নিজেকে।
আর শুধু বাঙালীই বা কেন..আপনিও ত লেখাটা শুধু তাদের জন্য করেন নি। তবে আমাদের ভাষা অবশ্যই শেষ গর্বের জায়গা, আবেগের এবং আন্দোলনেরও।
আমি কবি না, দালাল।
কাকশালিখচড়াইগাঙচিল বলেছেন: হা হা। মনে মনে দেখি সবাই আমার মত সংকুচিত। তাই রিলিজ করি কিছুটা, যদি পারি।
আসেন ভাই প্রলেতারিয়েতের কথাই বলি।
আমাদের কবিদের নিয়ে বেজায় পেরেশানিতে আছি। মৃত্যুবরণ করেছেন এমন এক বিখ্যাত কবি বলেছিলেন…..আমি কিংবদন্তীর কথা বলছি……তিনি বা তারা কিছুতেই সাধারণের কিছুতে নেই! তাদের ঝোঁক কেবলই কিংবদন্তীতে…গতরখাটা মানুষের কথা কে বলে? যে বলে তা কে পড়ে? যে পড়ে তা বোঝে ? তার পরও আমি বলব। আপনি বলবেন। আমরা বলব। সাধুবাদ আপনাকে।

কবিতায় চমৎকার,
বক্তৃতায় জ্বালাময়ী ,
প্রশাসনে উত্তম,
কথায় ও কাজে ভাগ্যহীনদের সাথে।আপনার গুনের তুলনায় আপনার সময় অত্যন্ত সীমিত।
লেখক বলেছেন:
কিছু না বলাই বোধহয় উচিৎ হবে।
সব কিছু পড়ার সময় কি হয় মানুষের! আমরা এখন মহা ব্যস্ত। আর এটা তো সেই ২০০৮ এর কবিতা।ধন্যবাদ শিপন।
১. ০২ রা ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:০৫
পেট্রোল ছাড়াই বিবেক জ্বলছে সবার….
প্রতিশ্রুতিভরা লোমশ হাত
শক্ত নখর তীক্ষ্ণ দাঁত ছেঁড়া মাংশ
শ্বাপদসংশ নদী কংস সাদা হংস
লুট হয়ে যাওয়া আমার অংশ
এগুলো জ্বালানো এখন প্রতিটা বঙ্গালীর নৈতিক দ্বায়িত্ব