২৬ শে জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১১:৫১ |
তোর যে হাতটি শিশুর নরোম গাল টিপে আদর করত
আজ সেই হাতে কালসিটে হাতকড়া দাগ,
ভেঙ্গেচুরে দুমড়ে-মুচড়ে পড়ে আছিস তুই অরুণাভ।
তোর সহ্যক্ষমতা মাপতে নখের ভেতর সুঁই ঢুকিয়েছে,
রক্তাক্ত অরুণাভ, তুই পড়ে আছিস বিরান ময়দানে।
জেলখানার ওই উঁচু টাওয়ার ছাড়িয়ে আমার মাথা আকাশে উড়ছে,
সব ক’টা জেল ফাটিয়ে চলে এসেছি আমি,
এই দ্যাখ অরুণাভ, তোর রক্ত ছুঁয়ে আমি ও আমরা।
ছোটবেলায় সখ ছিল ঘুড়ি ওড়ানোর, এবার ?
হ্যাঁ অরুণাভ, এবার আমি দালান ওড়াব, মানুষ ওড়াব
আর ওড়াব আমার ভেতরের স্নেহ-ভালবাসা এবং ‘আমি’ কে,
ঠিক দেখিস আমি চন্ডাল হয়ে শ্মাশানে বসে থাকব ,
দেখব কত শত অরুণাভ পুড়ে শেষে শ্মশান নেভে।
লেখাটির বিষয়বস্তু(ট্যাগ/কি-ওয়ার্ড): নিহত বন্ধুর প্রতি ;
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জুন, ২০১০ রাত ২:৩২ |
আপনার নিকটা অনেক্ষণ ভাবাল।
কিন্তু কোন কুল-কিনারা পেলাম না।ভাল থাকুন সারাবেলা,সারাক্ষণ।


বোঝা যাচ্ছে আপনি কবিতাপ্রেমি। আমার এটা কবিতা নয় ভাই!
নিহত বন্ধুর প্রতি নিজের নৈবেদ্য বা আর্তি যা-ই বলেন তাই।
না। একটু আলাদা নয়, অনেকটাই আলাদা।
মনামি আহত। মনামি ক্ষতবিক্ষত,বিক্ষুব্ধ।অরুণাভ নিহত। অরুণাভ অতীত।
অরুণাভ হত্যাকান্ডের শিকার।
অরুণাভ একটা প্রজন্মের প্রতিনিধি।
অরুণাভ’র বন্ধু জেল ভাঙ্গতে পারে
মাথা তার ছাত ফুঁড়ে আকাশে ঠেকে
কিন্তু নিজের ভেতরকার “আমি” কে
পরাস্থ করতে না পেরে অসহায় বিলাপ করে………………
আর ওড়াব আমার ভেতরের স্নেহ-ভালবাসা এবং ‘আমি’ কে,………………………..এই “আমি” কে উড়িয়ে দিতে পারলে আমরা “আমরা” হয়ে যেতে পারতাম।

এই নিয়ে মাত্র দ্বিতীয়বার এলেন।
শুভেচ্ছা নিন। ভাল থাকুন।

.jpg)
একটা ফাটাফাটি ধন্যবাদ গ্রহণ করুন।
শ্মশান একদিন নিভবে। দপ করেই নিভে যাবে। কেননা অরুনাভদের লাশ নিতে নিতে আর শ্মশানের দাহ্য করবার ক্ষমতা থাকবে না।আমরা বসে আছি আরো আরো অরুনাভদের তৈরি করে। শাণিত করে। ক্ষুধার্থ করে।ক্ষিপ্ত এবং ত্যাগি করে। বসে আছি।

হঠাৎ মনটা খারাপ হয়ে গ্যাল।
কেমন যেন একটা হাহকার !!!
এই অমনিবাশ হাহাকারের শেষ হবে কবে?কবে???????
একটা সোনালী স্বপ্ন দেখতো এই মানুষগুলো। সেই স্বপ্ন রাষ্ট্রের ভাল লাগে না। জান্তার ভাল লাগে না। স্বপ্নধারীরা বিকৃতভাবে মৃত্যুবরণ করে। আর সেই মৃত্যু আমাদের কবিতা লিখতে উদ্বুদ্ধ করে। কেবল করেই…………………………………………..
বিষাক্ত আলো বলেছেন: ছোটবেলায় সখ ছিল ঘুড়ি ওড়ানোর, এবার ?
????????
রাজর্ষী বলেছেন: +++++
shoshan kobe nivbe jobe prithibir sob oxygen sesh hoye jabe?
sorry bangla lekhate parchina.
লেখক বলেছেন: তার আগেই নিভে যেত! আমরা ভুল পথে ভুল লোকের হাতে সমর্পিত ছিলাম বোধকরি।
শুভেচ্ছা।

নাহ, তেমন কিছু না।আপনার নিকটা উচ্চারণে ভাবিত হয়েছিলাম। একশব্দ হিসেবে উচ্চারিত হবে, নাকি দুই ভাগে ? আনকমন নিক!

লেখক বলেছেন:
কৃতজ্ঞচিত্তে গ্রহণ করলাম।
মেঘ বলেছেন: Click This Link
পড়লে বাধিত হব
পড়লাম। মুগ্ধ হলাম। মন্তব্য করলাম। শুভেচ্ছা জানালাম। ভাল থাকুন।

এটাও কি পাল্টানো দরকার আশরাফ !জুবুথুবু বৃদ্ধ কবে থেকে দাঁড়িয়ে
মিছিল যায়, মিছিল আসে
শ্লোগান ওঠে, শ্লোগান নামে।
পেটের যে ক্ষুধা, সে তো কিছুতেই নামে না….
ভেতরে যে জ্বালা, সে তো কিছুতেই নেভে না….
কেউ কি কোথাও আছ ? এক বালতি জল দেবে ? শুধু জল ??
হুমম।
জিটক আবার জীবিত।

“পুড়ে পুড়ে যাবে তবুও জল ভিক্ষে দিয়ে যায় কেউ কেউ। “আমরা পাই না, আমাদের পেতে নেই।
না পাওয়ার ব্যাথা নিয়ে অরুণাভরা মরে যায়,
না পাওয়ার ব্যাথা নিয়ে কবি কাব্য মাখায়,
কাব্যমাখানো ভাতেও যে বৃদ্ধের ক্ষুধা মেটে না!!
মনজুরুল হক বলেছেন:
রুটি রুজির প্রয়োজনেই ঘুমটা বোধহয় দরকার। ঘুমাতে গেলাম…………………..
সত্যান্বেষী বলেছেন: এইমাত্র একটা পত্রিকায় দেখলাম ‘একশ আশি ডিগ্রি ঘুরে যাওয়াদের থেকে সাবধান’/মনজুরুল হক। বিটিভিকে নিয়ে লেখা। লেখার ঘরানা বলে লেখাটি আপনার। ভাল লাগল।
বিটিভিকে আমি বরাবরই বলেছি ‘বাংলাদেশ (বি) তেল (টি) ভবন (ভি)। (অট্টহাস্য)।
লেখক বলেছেন:
হ্যাঁ লেখাটা আমারই। প্রতি সোমবার বেরোয়। বিটিভি কে টার্গেট ধরা হয়েছিল, কিন্তু মূল ফেইস ছিল সব কয়টা প্রচার মাধ্যম।
আমি নিজে এবং আমার সুহৃদ মহলের ধারণা ব্লগে “ইনস্ট্যান্ট” লেখা-লেখির কারণে আমার কলামের ধার/ভার দুটোই কমে গেছে! আমার আগের লেখাগুলো পড়ে আমিও বুঝি, আসলেই সমস্যা হয়েছে।
শুভেচ্ছা।
তনুজা বলেছেন: “এই দ্যাখ অরুণাভ, তোর রক্ত ছুঁয়ে আমি ও আমরা…….”
কলম হাতে বেঁচে থাকুন, বাঁচার ইচ্ছেটা জাগিয়ে রাখুন আপনার লেখায় এবং আমাদের রক্তে
লেখাটির মেইনস্ট্রিম ধরে মন্তব্য করেছেন।
লেখক আপনার প্রতি কৃতজ্ঞ। জানি না কতটুকু পারি, আর কি পারি? তবে চেষ্টা করে যাই একনিষ্ঠভাবে। করে যাব-ও।শভকামনা।
বলেছেন: তাহলে তো সমস্যা!
এই ধার কমে যাওয়ার ভয়টা!!

হম। এটাই ধারণা করেছিলাম। ১৫ নম্বর মন্তব্যের উত্তরেও তাই বলেছিলাম। চমৎকার নাম(নিক)।অ.ট. আপনি আমার ব্লগে শুধু এসেছেন তাই নয়, এই পোস্টে প্রথম কমেন্ট করেছেন। সেই অধিকার বা দাবি যা-ই বলেন, একটা পরামর্শ দেবঃ এধরণের পোস্টে শুধু পোস্ট পড়বেন না। সাথে সাথে বিভিন্ন জনের মন্তব্যও পড়বেন। অনেক সময় দেখবেন পোস্টের চেয়ে মন্তব্যগুলো আরো চমৎকার! আরো বুদ্ধিদীপ্ত।নামটা জানিয়ে যাওয়ার জন্য আবারো ধন্যবাদ।

থ্যাংকস তিতিয়ানা।
উপদেশ না ভাই! পরামর্শ।
উপদেশ দেবার মত এলেম নাই।
ভাল থাকুন।
সজিব থাকুন।

আপনার শুভেচ্ছা আরো ফলবতী হোক। ভাল থাকুন।

লেখক বলেছেন: শুধু ব্লগে না, আপনাকে গতকাল অফলাইন ম্যাসেজও দিয়েছিলাম। পরশুর আগের দিন ইয়াহু অফ ছিল আমার। আপনার অফলাইন পেয়েছিলাম। যাহোক সম্ভব হলে ম্যাসেঞ্জারে আসলে কথা হবে….. আছি।
১. ২৬ শে জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১১:৫৫