০৬ ই জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১:২৭।
এর আগে মাত্র একবারই ঘটেছিল ইতিহাসের এমন ভূমিধ্বস বিজয়। সেই সত্তরে।২শ ৯৯টা আসন পেয়েছিল আওয়ামী লীগ। এবার পেয়েছে একক ভাবে ২শ৩০, আর জোটগত ভাবে ২শ৬২। এরকম বিজয়ের পর কোন রকম প্রশ্ন ছাড়াই সংবিধান সংশোধনের মত গুরুতর কাজও করা যায়। কোন রকম বাদ-প্রতিবাদ ছাড়াই নতুন নতুন আইন পাশ করা যায়। আমাদের দেশের ট্রাডিশন অনুয়ায়ী যা কিছু নিজেদের জন্য দরকার তার সবই আইন তৈরি করে নেওয়া যায়। আমরা এখন পর্যন্ত যতটুকু জানতে পারছি,তা হলো আওয়ামী লীগ বা মহাজোট এবার সম্ভবত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে চাইছে।এবং এ লক্ষ্যে তারা জাতিসঙ্ঘের সহায়তাও চেয়েছে। মহাজোটের এমন বিজয়ের পর দেশবাসী সমস্বরে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবীটাও সামনে এনেছে। যাই হোক আমরা সাংসদদের শপথগ্রহণ এবং মহাজোটের সরকার গঠন এর পর কি ঘটবে তার দিকে তাকিয়ে আছি। আওয়ামী লীগ বা মহাজোট তাদের নির্বাচনী ম্যানিফেস্টতে যা যা লিখেছিল তার সব না হোক কিছু কিছু যে তারা বাস্তবায়ন করবেন সে ব্যাপারে মোটামুটি নিশ্চিত হওয়া যায়। আমরাও নিশ্চিত হতে চাইছি। এখন দেখার বিষয় হচ্ছে, মহাবিক্রমে বিজয় অর্জন করা এই মুহূর্তে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দলটি বা জোটটি তাদের কোন কোন কাজকে অগ্রাধিকার দেবে?
আমরা যদ্দুর জানতে পেরেছি,তারা প্রথমেই নজর দেবে দ্রব্যমূল্য কমানোর দিকে। এটাকেই তারা এক নম্বর এজেন্ডা ভাবছে। এটা আসলেই দেশের এই মুহূর্তে এক নম্বর এজন্ডা। তাহলে বাকি এজেন্ডাগুলো কি কি ?
আমি এই সরকারের কাছে ঝাঁকে ঝাঁকে দাবীনামা দিতে চাইছি না। জানি মাত্র গোটাকতক কাজ সম্পন্ন করতে পারলে বাকি সমস্যাগুলো আপনাতেই মিটে যাবে। আমি খুব বিনীত ভাবে নতুন সরকারের কাছে মাত্র কয়েকটি মাত্র দাবী পেশ করব। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ব্যাপারটা কোন দাবীর ব্যাপার নয়। এটা এইমুহূর্তে জাতির জন্য, জাতির ভবিষ্যতের জন্য আশু করণীয়। এটা এবার শুধু করতে হবে তাই নয়, যুদ্ধাপরাধীদের যাদের বিচার আগেই সম্পন্ন হয়েছিল তাদের বিচারের রায় কার্যকর করতে হবে। এখান থেকে সরকারের আসলে একচুলও সরে যাওয়ার সুযোগ নেই। আমরা অতি দ্রুত কাজটা শুরু হয়েছে সেটা দেখতে চাইছি। পাশাপাশি এই কাজগুলোও করতে হবে।
এক। র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন নামক এই সংস্থাটি প্রত্যাহার করুন। যে কারণে এই সংস্থাটি গড়ে তোলা হয়েছিল সেই কাজগুলো প্রচলিত পুলিশ বা আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীই করতে পারে। দেশে দেশে পুলিশেরই যেখানে শত শত মানবাধিকার লঙ্ঘনের মত রেকর্ড আছে, সেখানে এই ‘র্যাব’ কে দিয়ে মানবাধিকার ভূলুণ্ঠিত করার অনেক নজির সৃষ্টি করেছে চীন,ভারত,রাশিয়া, এবং আরো অনেক দেশ। সর্বশেষ এই তালিকায় বাংলাদেশের নাম উঠে এসছে বেশ জোরেশোরেই। বিশ্ব এখন এমন এক সন্ন্ধিক্ষণে এসে পৌঁছেছে যে, বিশ্বের কোথাও মানবাধীকার লঙ্ঘনের ঘটনা আর চাপা থাকছে না। মিডিয়া হাইপের এই যুগে কোন খবরই আর গোপন রাখা যাচ্ছে না। ‘র্যাব’ কে দিয়ে বিগত চার দলীয় জোট সরকার যে অন্যায্য কাজগুলো করেছিল সেই একই ধরণের কাজ একটি অসম্ভব জনপ্রিয় সরকারও করবে সেটা কোন যুক্তিতেই পড়ে না।
বিনা বিচারে মানুষ হত্যা করার এই বদনাম কেন একটি প্রচন্ড জনসমর্থনে বিজয়ী সরকার করবে? ‘র্যাব’ যে সত্যিকার অর্থে বিনা বিচারে মানুষ মেরে দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সাঙ্ঘাতিক উন্নতি ঘটাতে পেরেছিল এমন কোন নজির কিন্তু নাই।বরং একটা বিশেষ ধরণের দলের বা বিশেষ কিছু মানুষকে ’সন্ত্রাসী’ আখ্যা দিয়ে যে নির্বিচারে হত্যা,গুম করা হয়েছিল সেটা কোন ভাবেই কোন আন্তর্জাতিক ফোরামে নন্দিত তো হয়ইনি, বরং চরম ভাবে নিন্দিত হয়েছে। ‘র্যাব’ এর এই আইনবর্হিভূত হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা,বিভিন্ন দেশ সোচ্চার হয়েছে বিভিন্ন সময়ে।
সন্ত্রাস দমন যে কোন নাগরিকেরই কাম্য, যে কোন নাগরিকই চাইবে একটা সন্ত্রাসমুক্ত পরিবেশে দিনাতিপাত করতে। কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে, মানুষ এই আইনবহির্ভূত হত্যাকান্ডকে সমর্থন করে বা করবে। করেও নি। পুলিশ যদি সঠিক অর্থে তাদের উপরকার দায়িত্ব পালন করতে পারে তাহলে কেন এই ভূমিধ্বস বিজয়ের সরকার সেই কলঙ্ক বহন করে চলবে? ‘র্যাব’ এর হাতে এযাবতকালে নিহতদের কোন বিচার হয়নি। আর হবেও না। কারণ সেই বিচারের পথও আইন করে রুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। এখন নতুন করে সে সবের বিচার না হোক, নতুন করে এই সরকারের অধীনে কেন আবারো সন্ত্রাসী আখ্যা পাওয়া মানুষরা বিনা বিচারে মৃত্যুবরণ করবে? মনে রাখতে হবে আপনাদেরকে যারা এবার বিপুল ভোটে বিজয়ী করেছে তাদের মধ্যে সেই সব হতভাগা নিহতদের বাবা.মা,ভাই-বোনও ছিল। আশা করব সরকার এই মধ্যযুগীয় দমন পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে আসবে।
দুই।দুইনম্বর এজেন্ডা হিসেবে আমি সরকারের কাছে দাবী রাখব দেশের এক বিশাল সংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থানের। দেশে এখন কম-বেশী চার থেকে সাড়েচার কোটি বেকার। এর মধ্যে শহুরে শিতি বা আধাশিতি বেকারের বাইরে যে বিশাল অশিক্ষিত বেকার তারা কখনোই আমাদের কোন রাষ্ট্রীয় পরিসংখ্যানে আসে না। যাদের সাদামাটা নাম-ক্ষেতমজুর। এদের সংখ্যা প্রায় তিন থেকে সাড়ে তিন কোটি। এরা বছরের প্রায় ছয় মাসই বোকার। যে ছয় মাস কাজ পায় তাও নিয়মিত নয়। কামলা হিসেবে মানুষের জমিতে বা বাড়িতে এদের কাজ জোটে। এই যে বাকি ছয় মাস এরা বোকার বসে থাকে সেটাই আমাদের দেশের অর্থনৈতিক কাঠামোর জন্য ভয়াবহ রকমের হুমকি।
যতই মিসকিন মিসকিন শোনাক শব্দগুলো, তবুও এদের কর্মসংস্থানের জন্য ’কাবিখা’ জাতীয় প্রজেক্ট প্ল্যানের আওতায় এনে এদের কর্মসংস্থান করতে হবে। এরা যদি সারা বছর জমি-জিরেতে কাজ পায় তাহলে দেশের যে পরিমান উৎপাদন বাড়বে সেটাই এদের খোরপোষের জন্য যথেষ্ট। এদের দাবীও খুব বেশী কিছু না। শুধু একটা গতরখাটা কাজ আর দুবেলা দুমুঠো খাবারের সংস্থান।
শহুরে অর্ধশিক্ষিতরা তাও রিক্সা চালানো বা এই ধরণের কিছু একটা করে বস্তিতে গু-মুতের সাথে বসবাস করেও মানুষ হিসেবে কি অদ্ভুতভাবে যেন বেঁচে থাকে। জগতের যতসব ভয়াবহ অস্বস্তিকর দৃশ্য আছে তার মধ্যে সেরা হলো এদের এই শেয়াল-কুকুরের মত কুকুর-বেড়ালের সাথে অদ্ভুতভাবে বেঁচে থাকা।আমরা যারা নাকে সুগন্ধি গোলাপ মেখে, চোখে রোদচশমা এঁটে বিলাসী দয়ামায়ার কেচ্ছা শোনাতে বস্তিতে যাই, তারা ধারণাও করতে পারব না, সত্যিকারের কষ্টগুলো কতটা কষ্টকর! এই ঢাকাতেই প্রায় চল্লিশ লাখ মানুষ গিনিপিগ এর মত এক একটা দিন পার করে দিচ্ছে, আর একটু একটু করে মৃত্যুর দিকে নিশ্চিতভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে। স্বাস্থ্য,চিকিৎসা,মানবিকতা,স্যানিটেশন শব্দগুলো এদের কাছে ভয়াবহ রকমের হাস্যকর। এরা বাঁচে জীবনের নিয়মে। জীবন এখানে অনাহূত দুপুরের ঠাঁ ঠাঁ রোদের মত অনলবর্ষি। জীবন এখানে মহাকাশের ভরশূণ্যতার মত অস্তিত্বহীন। জীবন এখানে প্রতিনিয়ত জীবনকে পরাজিত করে আরো একটা দিনের জন্য বেঁচে থাকার কসরৎ! তবু, হ্যাঁ তবুও বলব এরা ভাগ্যবান! কারণ এরা রোজ না হলেও কিছু না কিছু কাজ পায়। তিন বেলা না হোক, দু বেলা অন্তত পেটে কিছু খাবার জাতীয় বস্তু দিতে পারে। কিন্তু যারা গ্রামের হতভাগা ক্ষেতমজুর, তাদের অবস্থা বর্ণনা করার মত নয়। মঙ্গা বা অচাষকালিন সময়ে এরা শুধুমাত্র একপেট খাওয়ার বিনিময়ে সারা দিনমান অবস্থাসম্পন্নদের ঘরে কামলা দেয়। মাহেন্দার খাটে।এদের পেটফোলা ছেলেমেয়েগুলো আর বড় হয় না। তিলে তিলে একটু একটু করে বেড়ে শহরে কাজের মেয়ে বা কাজের ছেলে হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করে মাত্র। আর সেখানে আবার নতুন করে শুরু হয় সেই দাসযুগের শোষণ। তাই যে কোন উপায়েই হোক এই মানুষগুলোর কাজের একটা ব্যবস্থা এই সরকারের করতে হবে। এদের কাজের ভেতর আনতে পারলে শহুরে বেকারত্ব জাতির ঘাড়ে খুব বেশী কঠিন পাথর হয়ে থাকবে না।
তিন।দুই নম্বর এজেন্ডায় যে মানুষদের কথা বল্লাম তারা তো বটেই, শহুরে নিম্ন আয়ের মানুষেরা গত সাত সাতটা বছর কিভাবে পিঠ-পেট একাকার করে বেঁচে আছে সেটা আপনারা ক্ষমতার বাইরে থাকাকালিন দেখেছেন। বলা ভাল দেখতে চেয়েছেন। দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতিকে সামলাতে না পেরে নিম্ন আয়ের মানুষ কিভাবে খাবি খেয়েছে তা আর নতুন করে বলার আবশ্যকতা নাই। আমরা কম-বেশী সকলেই এ নিয়ে গত সাত সাতটা বছর ধরে বলে আসছি। এ নিয়ে বিস্তর লেখা লেখিও হয়েছে।কুলি-মজুর, রিক্সাচালক,দিনমজুর,ঠেলাচালক,পথের ধারে শেয়াল-কুকুর হয়ে জীবন টিকিয়ে রাখা হতদরিদ্ররা এই উচ্চ দ্রব্যমূল্যের ফেরে পড়ে কিভাবে খাবি খাচ্ছে তা আপনারাও জানেন। আপনারাও এ নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে নালিশ জানিয়েছেন, প্রতিকার চেয়েছেন। এই ঢাকা শহরে আজ যে আপনারা সবগুলো আসনে বিপুল ভোটে জিতেছেন, সেই ’বিপুল’ ভোটের প্রায় ষাঁট ভাগই এই মানুষগুলোর দেওয়া। জ্বালানী তেলের দাম কমালে পরিবহন ব্যয় কমে। পরিবহন ব্যয় কমলে স্বাভাবিক ভাবেই দ্রব্যমূল্যও কমে আসে। এই সহজ হিসেবটা আরো সহজ হয়ে যায় যদি বিষয়টা দেখার ক্ষেত্রে মানবিকতা যোগ হয়। আমি আশা করছি আপনাদের এই জোটে যে উদারপন্থী বা বামপন্থীরা আছেন যারা তাদের রাজনীতির গোঁড়াতেই হতদরিদ্র মানুষের কথা বলেছিলেন, যারা এই মানুষদের সত্যিকারের মানুষের মত বাঁচার কথা বলে তাদের সংগঠিত করে রাজনীতি করেছেন, আশা করব তারা এবার সুযোগ কাজে লাগিয়ে এই মানুষদের জন্য কিছু করবেন।
আপনাদের দল বা জোট কোন ওয়েলফেয়ার ষ্টেট বা সাম্যবাদী রাষ্ট্র কায়েম করতে পারবেন এমনটি আমরা আশা করতে পারি না। তা হবেও না। তবে বর্তমান বিশ্বপ্রেক্ষাপটে সবচেয়ে জরুরী যে কথাটা চরম ঘৃণ্য সাম্রাজ্যবাদীরা পর্যন্ত স্বীকার করে, তারা পর্যন্ত যে শ্রমজীবীদের বাঁচিয়ে রেখে তাদের শ্রম দেবার মতা অটুটু রাখে তাদের কাছাকাছি অবস্থানে আপনারা অন্তত এদের বেঁচে থাকার মত সহনীয় বাজার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে পারবেন সেই আশাবাদ রাখতেই তো পারি।
নাহ, আর কিছু চাইবার নেই আমাদের। আমরা চাই আমাদের মানুষ কাজ করুক। সেই কাজের বিনিময়ে প্রাপ্ত অর্থে তার আর তার পরিবারের প্রয়োজনীয় খাবার কিনতে পারুক। আর তার বয়স অনুপাতে যেটুকু বরাদ্দ আয়ূ যেন সে পর্যন্ত বেঁচে থাকুক। যে মানুষ এত বিশাল পাথরের চাঁই সরিয়ে যে চেহারারই হোক একটা গণতন্ত্রের শিশু ভূমিষ্ট করেছে,সেই মানুষ যেন তার মানব জীবনের খুবই সামান্য চাহিদা মিটিয়ে বেঁচে থাকে। তারা বাঁচলে এই আমরা হিপোক্র্যাটরাও তাদের মত বাঁতে পারি।
সমান্তরাল প্রতিচ্ছবি
মনজুরুল হক
০৪।০১।২০০৯
লেখাটির বিষয়বস্তু(ট্যাগ/কি-ওয়ার্ড): চারটি দাবী ;
প্রকাশ করা হয়েছে: প্রবন্ধ বিভাগে । সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জুন, ২০১০ রাত ২:২৮ | বিষয়বস্তুর স্বত্বাধিকার ও সম্পূর্ণ দায় কেবলমাত্র প্রকাশকারীর…
ঠোলারা ত তহন কিছু করবো না, হেগোর দর্শক হিসাবে সুনাম ভালোই আছে।
বলেছেন: মঞ্জু ভাই … খব ঠিক আছে .. সবিনয়ে আরো একটা যোগ করলাম …
বর্তমান আমলা শ্রেনীকে নিয়ে পুরোপুরি এবং আক্ষরিক অর্থেই পুরোপুরি নতুন করে ভাবতে হবে।
আমাদের দেশটা মুলত পিছিয়ে থাকার একমাত্র এবং একমাত্র কারন আমাদের আমলারা … আপ্নারা যত’ই রাজনৈতিক ব্যার্থতার কথা বলেন না ক্যানো … মূল কারন এই “আবাল সুবিধাবাদী শ্রেনী ( সুবিধাবাদী তাও আবার আবাল .. অবস্থাটা খেয়াল করুন .. সাবাল ভাবে সুবিধা আদায়ের নুন্যতম বুদ্ধিমত্তাও এদের নেই) …
প্রসংগত বলে রাখি … আমরা টের’ও পাইনা তারা কিভাবে কিভাবে আমদের ক্ষতি করছে।
যদি ঢাকায় থাকেন খেয়াল করে থাকবেন, সম্প্রতি বিজয় স্মরনী একটি বিকল্প রাস্তা হয়েছে ..
কাউকে কিছু না জানিয়ে কিভাবে এটা সম্ভব হল … গরু মেরে জুতা দান .. ঢাকাবাসি টের’ও পায়নি … কুড়িল বাড্ডায় নাকি ফ্লাই ওভার হবে .. ক্যামনে সমগ্র শহরের প্ল্যানিং শেষ নাকরে একটা ফ্লাই ওভার আৎকা অনুমোদিত হয় …. ভাবতে পারেন কতটা নির্বোধ উন্মাসিক হলে আমাদের রাজউক .. এরকম একটা বিল পাশ করায় …
আরো আরো উদাহরন আছে … এসব কিয়ে পোস্ট দেবো ভাবছি ..
ভাইরে, এই আবালদের নিয়ে লিখে দুইবার কেস খাইছি! কাগজের অফিসে এসে ধমকাইয়া গেছে হারামিগুলা। এদের নিয়ে লেখা দেন। আমার স্টকে আছে, কিন্তু এখন দিচ্ছিনা। কারণ এখন চাচ্ছি বার্নিং ইস্যুগুলা সামনে আসুক। আমি নির্বাচনের আগে গ্রামে গিয়ে মানুষের যে কষ্ট দেখেছি তাতে মন বিদ্রোহী হয়ে ওঠে। কিছুই করতে পারিনা আমি! কিছুই বদলাতে পারিনা আমি!! খালি দুঃখ কষ্টে হতাশ হই।
লেখক বলেছেন:
ফারহান দাউদ। “বুয়েটের শিক্ষকদের দিয়ে করানো হয়েছে,” বলেই কি তার ফিজিবিলিটি স্টাডি শেষে সেটা জনগুরুত্তপূর্ণ আর জাতির জন্য কি প্রয়োজনীয় হয়ে যায় ? যে দুইটা ফ্লাইওভার হয়েছে তাতে কি যানজট কমেছে বলে আপনি মনে করেন?

বাকি সবগুলোই নতুন সরকারের কাছে গণমানুষের চাওয়া। আরেকটা ব্যাপারে একটু নজর দেওয়া প্রয়োজন, তা হচ্ছে জনসংখ্যা সমস্যা। কোন সরকারই এ’দিকটায় গুরুত্ব দেয়নি।
বলেছেন: ফারহান দাউদঃ আমি প্রতিশব্দ নাপেয়ে আৎকা শব্দটা ব্যবহার করেছি .. কোন প্রতিশব্দ’ও জরুরী মনে হয়নি ।
.. যতদুর মনে আছে .. ২০০৭ এর জুন জুলাইয়ের দিকে রাজ’উক চেয়ারম্যান .. ঘোষনা দেন রাজউক কুড়িল বাড্ডায় তেনারা একটা ফ্লাইওভার বানাবেন … ২০০৮ এর অক্টবরের দিকে রাজউক এবং ঐ চেয়ারম্যান ডিজাইনটি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ..
এখন আপনার কি মনে হয় এক বছরে ( আপনার মতে দুইবছরে ) ডিজাইন করা ঢাকা শহরের ( ? ) জন্য একটি ৩৬০ কোটি টাকার ফ্লাইওভার প্রজ়েক্ট যথেষ্ঠ “আৎকামী”র পরিচয় না …
ঢাকা শহরের ট্রাফিক প্ল্যানিং কি শেষ হয়েছে … ? ? ?
টোটাল ট্রাফিক প্ল্যানিং ছাড়া কিভাবে একটা লোকেশনে এককভাবে ফ্লাইওভার হয় …? ? ?
পৃথিবীর কোথাও আমি দেখিনি এ পর্যন্ত।
মিছে মন্ডল বলেছেন: “সেই সত্তরে।২শ ৯৯টা আসন পেয়েছিল আওয়ামী লীগ ” এই তথ্যটা মনেহয় সংশোধন করা উচিত।
ধন্যবাদ পোস্টের জন্য।

RAB তুলে নেয়ার প্রস্তাবটি নি:সন্দেহে একটি সাহসী প্রস্তাব। অনেকেই ক্রসফায়ারে পড়ে বেঘোরে পটল তোলার ভয়ে এই ঘাতক বাহিনীটির (গেস্টাপো?) বিরুদ্ধে টু শব্দটি করে না।বিনা বিচারে গুলি করে মেরে ফেলা বর্বরদেরই কাজ। বিচার ব্যবস্থার উন্নতি হোক। ফাঁসির আসামীও অন্তত এই সান্ত্বনা নিয়ে মরুক যে তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেয়া হয়েছিল।(হায় হায়, আমাকে আবার ক্রসফায়ারে… ?!?!)হতদরিদ্রদের পক্ষে আবেদন করে পূনর্বার আমার শ্রদ্ধাভাজন হলেন। তবে আ. লীগ গতবার বিনা পূনর্বাসনে যেভাবে বস্তি উচ্ছেদের রেকর্ড করেছে তাতে মনে হয় না এ বিষয়ে কিছু করবে।
আমরা সবাই জানি কোন কিছুতেই কোন কিছু হবে না। তার পরও আমাদের বলে যেতে হয়। জীবন আমাদের এখন আর পার হয়ে যায় না। জীবন এখন আমাদের থমকে আছে এক অদৃশ্য শঙ্কার বাঁকে।



ফারহান দাউদ আর মনির হাসান এর কথপোকথন নিয়ে আগামী কাল আলোচনার আশা রইল। বিষয়টা আলোচনার দাবী রাখে। আপনাদের দুজনকেই ধন্যবাদ।

একটা কথা না বল্লেই না … র্যাব নামটা কিন্তু শীর্ষ সন্ত্রাসীদের কাছে একটা আতংক । এই আতংকটা যাতে অন্যান্য আইন শৃংখলা বাহিনীর ক্ষেতেও থাকে সেরকম করে বাহিনীগুলো তৈরী করতে হবে। তবে সেটা অবশ্যই বিনা বিচারে রাত ১২ টায় অস্ত্র উদ্ধারের নামে এনকাউন্টার করে নয়।
আমাদের নিজেদের কাছে প্রশ্ন রাখা উচিত আমরা অপরাধীদের সাজা দিতে না পেরে রাত ১২ টায় হাইওয়েতে নিয়ে গুলি করে অপরাধী মারছি .. এটা কতটা সভ্য !
এদের বিচার না করতে পারার বাধাগুলো কোথায় কোথায় .. সেই বাঁধাগুলো মেরামত করা উচিত।
আইন শৃংখলা রক্ষা বাহিনীর সার্বিক (নৈতিক এবং বাহ্যিক) উন্নয়ন অবশ্যই দরকার । তারও আগে আইন এবং বিচার ধারা গুলো নিয়েও চিন্তা করা উচিত । দু’শ বছরের পুরনো বিচার ব্যবস্থা দিয়ে দেশ চলছে । যেখানে গ্রেফতারী পরোয়ানা থাকা সত্বেও অপরাধী পাজেরো হাঁকিয়ে রাষ্ট্রনায়কের সাথে দেখা করতে পারে সেখানে আইন যে কতটা নিস্বঃ চোখে আঙুল দিয়ে দেখানোর অপেক্ষা রাখে না ।
লেখক বলেছেন:
এসবই হচ্ছে জনবিচ্ছিন্নতার নমূনা। আমাদের সরকারে যারা আসীন হন তারা প্রথম চোটেই জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন, কারণ তাদের প্রথমেই জননিপীড়নমূলক কাজে হাত দিতে হয়। এর পর আর তারা আগের অবস্থানে ফিরতে পারেন না।
যে দেশে বিচারকরা রাতের আঁধারে এজলাস বসিয়ে কাঙ্খিত ব্যক্তির জামিন তৈরি করেন, বিশেষ পাড়ার হুকুমের কারণে বিচারপ্রার্থীর জামিন খারিজ করে দেন, সে দেশে এ ধরণের বাহিনী দরকার হয় তাদের নিজেদের নড়বড়ে অবস্থানকে সংহত করতেই।
সুতরাং সরকার তার নিজের প্রয়োজনেই এসব বাহিনী তৈরি করে, ব্যবহার করে, এবং তার বেনিফিশিয়ারী হয়। আমরা আমজনতা কেবলই ভিকটিমাইজ হই। এটাই আমাদের নিয়তি!
ম্যাস যখন আর সরকারের রক্তচক্ষুকে ভয় পায়না তখন, তাদের বিশেষভাবে ভয় পাওয়ানোর জন্য এরকম হরেক কিসিমের বাহিনী তৈরি করতে হয়। যারা নিজেরাই আইনের শাসন মানেন না, তারা কি করে আইনের আওতায় সাধারণ মানুষের আইনি অধীকার দিতে পারেন? জানি। সব জানি। তার পরও আমি-আমরা লিখেই যাব। লিখতেই থাকব।
শাসকদের কাছে রাষ্ট্র বা রাষ্ট্রপরিচালনার ব্যাখ্যা এক রকম, আর সত্যিকার অর্থে রাষ্ট্র পরিচালনা এক রকম। আমাদের শাসকরা বরাবরই সেল্ফমেইড রাষ্ট্রব্যাখ্যা দাঁড় করান, এবং সে মতে রাষ্ট্র চালান।
সব কিছু দেখে দেখে ঘেন্না ধরে যাওয়ার পরও আমি-আমরা বলতে থাকব..ততদিন,
যতদিন ধড়ে প্রাণ থাকবে।
বলেছেন: মনজু ভাই পোস্ট বহির্ভূত তর্কাতর্কির জন্য ক্ষমা চাইছি .. এটাই শেষ..
প্রিয় ফারহান দাউদ .. আমার আপত্তির জায়গাটি হাতরানোর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ .. যদি’ও সফল হননি বা আমি বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছি।
ফ্লাইওভার হোক আর ইন্টারচেঞ্জ হোক … যেকোন মাল্টি লেভেল ট্রাফিকিং সিস্টেমের আগে দরকার শহরের টোটাল ট্রাফিক প্ল্যানিং
… আপনার গাড়ি মহাখালির মোড়ে রিকশা সাথে টক্কর খাইলে তার ইম্প্যাক্টে” ঝিগাতলার মোড়ে দুই ঘন্টার একটা জ্যাম লাগতে পারে … এটা মানেন … ?
ইন্টেগ্রেটেড ট্রাফিকিং সিস্টেমের কথা বলছি …
এয়ারপোর্টের মোড়ে একটা সিগনালের ইম্প্যাক্ট ঢাকার সেই মূঢ়া”র বকসীবাজারে’ও পরে …
আর একটা আস্ত ফ্লাইওভার সেখানে কি খেলাটা খেলবে সেটা বলার অপেক্ষা রাখেনা …
আর “স্থানীয় প্রেক্ষাপট” … “লোকবল”, “দেশি-বিদেশি পরামর্শকের ব্যাপারে আমাদের রাজউকের বিবেচনা” এসব নিয়ে বিশাল ক্যাচাল করার ইচ্ছা ছিল …
আপাতত ঘুম পাইতেছে ।
মনজুরুল হক বলেছেন:
এবং ফারহান দাউদ এর আলোচনায় গতকাল অংশ নেওয়ার ইচ্ছা ব্যক্ত করেছিলাম। যদিও এটা পোস্টের মূল আলোচ্য নয়, তবুও আলোচনা চলতেই পারে।
বাংলাদেশের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা নিয়ে যত লেখা-লেখি হয়েছে তা সম্ভবত দ্বিতীয় স্থান দখল করবে। অর্থাৎ রাজনীতির পরই এর অবস্থান। আমার নিজেরও এ নিয়ে লেখা আছে। সে যাই হোক। বিষয়টা জনগুরুত্বপূর্ণ।
১। বাংলাদেশে বিশেষ করে ঢাকায় সমগ্র শহরের আয়তনের অনুপাতে সড়কের অনুপাত মাত্র ১১%। একটা মোটামুটি উন্নত নগরের তুলনায় ২৬% কম! অর্থাৎ ত্বাত্ত্বিকভাবেই এটা কোন আধুনিক নগরী নয়।বাস্তবতার আলোকে এটা একটা ভজগট গ্রাম্য আধানগরী বিশেষ।
২। আমাদের দেশে যতগুলি সরকারী সেবা সংস্থা আছে তার মধ্যে সবচে’অথর্ব, সবচে’অকর্মণ্য, সবচেয়ে আবাল শ্রেণীর লোকজন দিয়ে ঠাসা এই সংক্রান্ত অধিদপ্তরগুলো। এদের মোটা মাথার অতিবিলাসী আর আহম্মকি পরিকল্পনা বাস্তবায়নে এই গরিব দেশের কোটি কোটি টাকা পয়মাল হয় ফি বছর। বিগত সরকারও মধ্যপ্রাচ্যের বুজর্গ আর পরমাত্মিয়দের সেবা করার নামে বিশ্বব্যাংক নামক সওদাগরদের কাছ থেকে ৩ শ’ কোটি টাকা ডিভাইডারে শ্রাদ্ধ্য করেছে! সড়কদ্বীপে কৃত্তিম মরুভূমি বানিয়ে ম্লেচ্ছ কারবার করে টাকাগুলোর নিকেশ করে দিয়েছে। এটা অকাটমূর্খ আমলাদের রেগুলেশন ওয়ার্ক!
৩। ঢাকা বিশ্বের একমাত্র নগরী যেখানে বিশ্বের সবচেয়ে নিম্ন মানের ট্রাফিকিং সিস্টেম চালু। একই সাথে পূর্ব-পশ্চিম আর পূর্ব-দক্ষিণে যান ক্লিয়ার করে! ঢাকার কোন সড়কেই পর্যাপ্ত ফুটপাথ নেই। এনএমভি বা নন মোটরাইজড ভেহিকেল এবং মোটরাইজড ভেহিকেল একই সাথে চলে! আনুমানিক ১০ লাখ রিক্সা গোটা শহরটা স্থবির করে দেয়। আবার এই ১০ লাখ রিক্সা তুলে দেওয়ার হিম্মত কারো নেই। কারণ এর সাথে জড়িয়ে আছে ৫০ লাখ মানুষের রুটি-রুজি। একটা বাঁশবোঝাই ঠেলাগাড়ি গোটা শহরের ছন্দপতন ঘটিয়ে দিতে পারে, দেয়ও।
৪।ফি বছর একটা নতুন ধরণের গবেষণাপ্রসূত বিকলাঙ্গ চিন্তা সন্তান প্রসব করতে না পারলে এষ্টাবলিশমেন্টের পকেট ভরে না, তাই তারা বিস্তর ইয়ে-টিয়ে ফেলে এক একটা ইয়ে প্রসব করে! সেই প্রসবকে যদি বুয়েট ইত্যাদির ট্যাগ লাগানো হয় তাহলে তার মহিমা তো বাড়েই না বরং কমে যায়, কেননা এই বুয়েট এর ই এক “মহান পন্ডিৎ” ড.শমশের পদার্থ বিদ্যার সূত্র দিয়ে মেরাজ গমণের বৈধতা প্রমাণ করতে প্রয়াসি হন! এই লোক যাদের শিক্ষক তাদের মেধার উপর আপনাতেই সন্দেহ জাগে। আর এদেশের এই সকল আবালমার্কা পরিকল্পনার সাথে সব সময়ই বুয়েট,আনবিক শক্তি গবেষণা, বিএসটিআই এর মত প্রতিষ্ঠানকে জুড়ে যে ক্যাম্পেইন চালানো হয় তা আখেরে মহা আবালীয় প্রমান হয়। শেষে এই আবালদেরই কোন একজন কে বলতে হয়…”জাতির প্রয়োজনে এমন কিছু এক্সপেরিমেন্টের জন্য কিছু ব্যয় তো মেনে নিতেই হবে”(কাকরাইল থেকে মগবাজার মোড় অব্দি রিক্সা লেন তৈরি করে আবার ভাঙ্গার পর এক কামেল ইন্জিনীয়ারের কথা ছিল এমন)।
৫। ঢাকার ২ টি ফ্লাইওভার ঢাকার যানজটের কিছুই করেনি। বরং অনেকাংশে বাড়িয়েছে। খিলগাঁও রেল ক্রসিংয়ে যে রিক্সাজ্যাম হয় সেটা আগে হতো না। আর মহাখালির টা যে কাদের জন্য কি উপকার করেছে বা করছে তা আজঅবধি কেউই বুঝতে পারল না।
৫। কখনো শুনি পাতাল রেল এর কথা, কখনো লিংকট্রেনের কথা। আসলে বিশ্বব্যাংক আইএমএফ এর “আব্বারা” যে চোথা ধরিয়ে দেয় তার বাইরে কোন কিছু করে দেখানোর হিম্মত আমাদের আমলাদের ছিল না, নেই, আর হবেও না। কারণ…?
৬। রুলস অব বিজনেস আইনটা গত আমলে শেখ হাসিনা পরিবর্তণ করতে চেয়েও পারেন নিসিনিয়র এমপি দের কারণে। এবারো পারবেন বলে মনে হয় না। সেটা চেঞ্জ না করা পর্যন্ত চিনে জোঁকের মত আমলারা আমাদের ট্যাক্সের টাকা শ্রাদ্ধ্য করবেন এতে আমরা আর অবাক হই না।
বলেছেন: প্রিয় ফারহান দাউদ .. যে আপত্তির কারণে আমার এই ঘাড় বাঁকামী তা বুঝতে না পারার কি আছে .. এতটা দূর্বোদ্ধ্য তো কখন ছিলাম না …
সোজা কথায় রাজউক আগে ঢাকা শহরের ট্রাফিক প্ল্যানটা শেষ করুক
( কমপক্ষে আগামী ২০ থেকে ৫০ বছর থেকে সেটা যেন সাস্টেইন করে ), শতভাগ ফিনিষ্ড চাই না .. ড্রাফট প্ল্যান হলে’ও আনন্দে লাফাবো .. তারপর তেনারা ফ্লাইওভার করবে না মুড়ি খাবে সেটা পরের ব্যাপার …
তৎক্ষনিক + আৎকা + আবালীয় সলিউসন … কোন স্থায়ী সলিউসন না ..

আপনার শেষ মন্তব্যটির পর আমাদের নিয়তি মেনে চুপ করে যাওয়া ছাড়া আর কিছুই বলার থাকেনা ..কয়েকদিন আগে শুনলাম .. ধানমন্ডির লেক সার্কাস এলাকার সংস্কার প্রকল্পে খরচ হয়েছে নাকি ৩০০ কোটি টাকা ।শুধু ল্যান্ডস্কেপ, পেভমেন্ট, দুইটা ব্রিজ, ৬-৭টা মেটাল ব্রিজ (তা’ও এম এস’এর) একটা ডিঙ্গি, রবীন্দ্র সরোবরের মুক্তমঞ্চ, ২-৩ টা ফুড কোর্ট আর কিছু এলেভেটেড ল্যান্ডস্কেপ ………
কেউ আমাকে ৩০ কোটি টাকার কাজ দেখাতে পারবেন ওখানে ?প্রসঙ্গত বলে রাখি .. সেই সময় (৯৭-৯৯ সালের দিকে) একটা পৌনে দুই কাঠা জায়গার উপর একটা এভারেজ ছয় তালা বিল্ডিং বানাতে খরচ হত কমবেশি ১ কোটি টাকা ..
আমরা একসময় বড় ভাইদের দেওয়া টাকা (হরতাল সফল করার জন্য) হালাল করার জন্য “ভাইচার বোমা” ইউজ করতাম। মানে কয়েকটা পটকা ধামাধাম ফোটানো। বড় ভাইরা ভাবত টাকার যথাযথ ব্যবহার হয়েছে !!ঠিক এটাকে রাষ্ট্রীয় ডাইসে ফেলে প্রডাক্ট বের করুন, দেখবেন তার নাম হবে”ভাউচার বোমা”!!
তারার হাসি বলেছেন: রাজনীতি, এ নিয়ে তক বিতক শেষ হবে না, চলতেই থাকবে।
১।এদের পেটফোলা ছেলেমেয়েগুলো আর বড় হয় না। তিলে তিলে একটু একটু করে বেড়ে শহরে কাজের মেয়ে বা কাজের ছেলে হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করে মাত্র। আর সেখানে আবার নতুন করে শুরু হয় সেই দাসযুগের শোষণ। ”
২।জগতের যতসব ভয়াবহ অস্বস্তিকর দৃশ্য আছে তার মধ্যে সেরা হলো এদের এই শেয়াল-কুকুরের মত কুকুর-বেড়ালের সাথে অদ্ভুতভাবে বেঁচে থাকা।আমরা যারা নাকে সুগন্ধি গোলাপ মেখে, চোখে রোদচশমা এঁটে বিলাসী দয়ামায়ার কেচ্ছা শোনাতে বস্তিতে যাই, তারা ধারণাও করতে পারব না, সত্যিকারের কষ্টগুলো কতটা কষ্টকর!
এ দুটি পয়েন্ট কঠোর সত্য, আমরা মাঝে মাঝে চোখ দিয়ে দেখি, দেখতে ভাল না লাগ্লে চোখ ফিরিয়ে নিই…
সরকার এর কথা বাদ দিয়ে আমাদের কি কিছু করার নেই, দায়িত্ব বলতে কিছু নেই, মানবতার দায়িত্ব !
আপনার নিজের শ্রেণী অবস্থান থেকে মোটাদাগে নীচুতলার এইসব কদর্য দেখতে পাবার কথা নয়! তার পরও আপনি দেখেছেন,অর্থাৎ আপনার দেখার চোখ শ্রেণী সমন্বয়ের ঘেরাটোপে বন্দি নয়। সে কারণে, সে কারণেই আপনি প্রবল রাজনীতি সচেতনদের চেয়েও একধাপ ওপরে অবস্থান করছেন।হ্যাটস অফ টু ইউ…….।আমাদেরও যে কিছু করবার আছে সেটা আপনি যেভাবে উপলব্ধি করেছেন, সেই বোধটা আরো ছড়িয়ে পড়ুক। সবখানেই ছড়িয়ে পড়ুক।
ভাল থাকবেন।
অসম সাহস বলেছেন: —-এর চেয়ে দুঃখজনক ঘটনা জাতির জীবনে আর হতে পারে না।
পরিবর্তন বলতে মুখের পরিবর্তনকে বুঝায় না। পরিবর্তনতো কর্মের। যে সব ব্যক্তিকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তা অত্যন্ত হাস্যকর। কারণ নতুন মুখের নামে অভিজ্ঞতা ও দক্ষতাহীন কিছু মানুষকে মন্ত্রী করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের নতুন মুখদের মধ্যেও এদের চেয়ে অনেক দক্ষ ব্যক্তি রয়েছে। এদের বাদ দিয়ে যাদের আজ শপথ পড়ানো হলো তাতে চরম দলকানা ছাড়া আর কেউ হাততালি দিতে পারে না।
কারণ সরকার পরিচালনায় দক্ষ ব্যক্তির মন্ত্রণা প্রয়োজন। তাহলেই পরিবর্তন সম্ভব।
মুশকিলটা হচ্ছে আমাদের দেশের মানুষ বিদেশের জনপ্রিয় স্লোগান দেখেই আত্মহারা হয়ে যায়। অথচ তারা একবারের জন্যও ভেবে দেখে না ঐ স্লোগানের সাথে কী কী আবশ্যিক বিষয় রয়েছে।
ওবামা পরিবর্তনের ডাক দিয়ে অনেক নতুন মুখ এনেছেন। কিন্তু কেউ কী বলতে পারবে তিনি কোন অদক্ষ-অযোগ্য ব্যক্তিকে তার মন্ত্রী সভায় ডাক দিয়েছেন।
অথচ হাসিনা পরিবর্তনের নামে তার ব্যক্তিগত খায়েশ চালিয়ে দিলেন। এর বড় প্রমাণ হচ্ছে আবুল মাল আব্দুল মুহিত। এই মালকে কী দক্ষ লোক বলা যায়? তিনি এরশাদের অর্থমন্ত্রী ছিলেন। তখন কী তিনি বাংলাদেশকে সোনা দিয়ে বাঁধিয়ে দিয়েছিলেন। তিনি তো এরশাদের অগণিত অপদার্থের একজন। অথচ তার চেয়ে এককোটি গুণ ভালো ছিলো অধ্যাপক আবুল বারাকাতকে বলে কয়ে অর্থমন্ত্রী করা।
“এই মালকে কী দক্ষ লোক বলা যায়?”ফাটাফাটি কমেন্ট ! মালরে তাহলে “মালেই” চিনে কি কন ?
জ্বিনের বাদশা বলেছেন: একমত … দূর্নীতি দমন যখন একটা মূল উদ্দেশ্য তখন পুলিশবাহিনীর পাশাপাশি র্যাব রাখা অযৌক্তিক … পুলিশকে দুষণমুক্ত করাটাই লক্ষ্য হোক
দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধিরোধ আর কর্মসংস্থানের প্রচেষ্টা হোক মূল ইনিশিয়েটিভ
লেখক বলেছেন:
আপনার টু দ্য পয়েন্টে বলা কথাগুলো আমার সমগ্র লেখার সারমর্ম। ভাল থাকবেন।
ফিউশন ফাইভ বলেছেন: বাস্তবতা দেখলে শেখ হাসিনার পক্ষে র্যাবকে নিয়ে কোনো সিদ্ধান্তে খুব কঠিন, অসাধ্যও বলা চলে। র্যাবের বেশিরভাগই সশস্ত্র বাহিনী থেকে আসা। ফলে এটা খুব স্পর্শকাতর হবে। র্যাবের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লংঘনের অভিযোগ আছে বটে, তবে সততার প্রশ্নে পুলিশের সঙ্গে তাদের তুলনা চলে না। র্যাবে দুর্নীতি খুবই কম, যা কিনা পুলিশের অভ্যন্তরে রন্ধ্রে রন্ধ্রে। সংস্কার শুধু নয়, এমনকি আলাদীনের চেরাগও যদি আনা হয়, সঠিকপথে আসতে অনেক সময় লাগবে পুলিশের।
আপনার অন্য পয়েন্টগুলোর সঙ্গে একমত।
লেখক বলেছেন:
RAB সততা যদি অক্ষুন্ন রাখা যায়, দূর্নীতি কম রাখা যায়, তাহলে পুলিশের যায় না কেন? শুধু এই কারণেই কি বিনা বিচারে হত্যাকান্ড সমর্থন করা যায়? ভারতে কিন্তু
RAT কে নিয়ে অনেক হাঙ্গামার পর তাদের কর্মকান্ড সীমিত করা হয়েছে।

মনজুরুল হক বলেছেন:
ফারহান দাউদ থ্রেডটা ধরে এগিয়েছেন। আশা করি মনির হাসান প্রত্যুত্তোর দেবেন।যুক্তিপূর্ণ বিতর্ক বিষয়টিকে পরিষ্কার করতে পারে।
বলেছেন: ফারহান … ঠিক ধরেছেন আমি আপনার মত জ্ঞানী হয়ে উঠিনি .. আলোচ্য বিষয়ে আপনার জ্ঞান যে আমার থেকে অনেক এগিয়ে” আপনার এ দাবীকে’ও সমর্থন দিচ্ছি … সাধারন আলো বাতাস খাওয়া জ্ঞান আমার … উপলব্ধি থেকে যতটুকু বুঝি তার উপর ভরসা করে চাপাবাজী করি …
আপনার জ্ঞান ফলানোর সুবিধার্থে আমি এবার আপনার প্রিয় প্রকল্পটির লিঙ্ক, কন্সালটেন্ট প্রতিষ্ঠানের লিঙ্ক বা এর ট্রাফিক সার্ভে রিপোর্ট …প্ল্যান, মডেল … ডিটেইলিং ইত্যাদি ইত্যাদি দেখতে চাইছি … যদি পারেন আমার উপকার হতো …
না পারলেও অসুবিধা নেই …
“যদিও আপনে ফ্লাইওভার আর ইন্টারচেন্ঞ্জের তফাৎ বুঝেন না,”
-জ্বী আমি তফাৎ বুঝিনা … খালি এটা বুঝি … আমার শহরে আজাইরা দুটা হাওয়াই রাস্তা আছে … যেগুলোতে উঠে পাব্লিক আক্ষরিক অর্থেই হাওয়া বাতাস খায় …
আর যানবাহন- সে গুলোতে মজা করে উঠে ঠিক’ই … কিন্তু … নেমে তাকে আবার জ্যামে পরতে হয় …
…. বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আগে যেখানে ১০ মিনিটের জ্যাম লাগতো এখন সেখনে ৪০ মিনিটের জ্যাম … … সেটাই স্বাভাবিক … … কারণ ফ্লাইওভার গুলো একসাথে অনেক বেশি ট্রাফিক একি সময় একই জায়গায় ছেড়ে দিচ্ছে … এবং তারপরবর্তি ক্রস এর জন্য আগের মতই সিগনাল সিস্টেম … খুব সোজা ব্যাপার তাই না ফারহান ?
তাহলে দেখা যাচ্ছে … একক ভাবে কোন একটি জায়গায় নির্মিত ফ্লাইওভারটি মূলত এর একপ্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত পর্যন্ত’ই সার্ভ করছে … ফ্লাইওভার পার হয়ে তার পরবর্তি সিগনালর জন্য সেটি আর কয়েকগুন বেশি ট্রাফিক লোড নিয়ে হাজির হচ্ছে … …
আমার সাধারন আলো বাতাস খাওয়া মাথায় … এটিকে আমি যেভাবে দেখি … তা হচ্ছে … শহরের ট্রাফিক রিদমে একটি বড় ছন্দপতন ..
সিগনাল অরিয়েন্টেড ট্রাফিক সিস্টেমে এমন একটা বড় লোড সারা শহরের ট্রাফিকিং’কে আরো বেশি স্ট্রেসেড্ করে দেয় … এবং দিচ্ছে …
ফলে এরকম খাপছাড়া একটা দুইটা ফ্লাইওভার বা ইন্টারচেঞ্জ ( দুঃখিত আমার কাছে দুইটাই এখন এক জিনিষ) পারতপক্ষে … “যার বাসা ফ্লাইওভারের একপ্রান্তে আর যাবে আরেকপ্রান্তে যেখানে তার শ্বশুরের বাসা” – তাদের ছাড়া ঢাকার আর কারো কোন উপকারে আসেছেনা …
( দুঃখিত যে আমি শুধু শ্বশুরবাড়ি’কেন্দ্রিক না বলে ) … উল্টো সারা শহরবাসীকে সেই ফ্লাইওভারটির কারণে তৈরী বাড়তি চাপের সম্মুখিন হতে হচ্ছে …
এখন’ও আপনি বলবেন ভবিষ্যত শহরের একমাত্র সমাধান ফ্লাইওভার বা ইন্টারচেঞ্জ কোন একটা জায়গা থেকে শুরু করতে হয় … নাহলে শুরুটাই হবেনা …
ঠিক এবং … একমত …
অবশ্য’ই শুরু করতে হবে … কে মানা করেছে ?
আপ্নারা শুরু করুন … আগে আমাকে ট্রাফিক প্ল্যানিং’টা দিন যে .. ভবিষ্যতের ট্রাফিক আপনার কিভাবে কোন রাস্তা দিয়ে কেমনে কোথায় পাঠাবেন তার একটা ড্রাফট দিন …
সেটা কি কম্প্লিট হয়েছে … ?
কমপ্লিট হওয়াতো দুরের কথা … ধারনা করি ভেবেও দেখেনাই এর প্রয়োজনীয়তা … তা না হলে ক্যানো আজ এই রাস্তা ওয়ানওয়ে করেনতো কাল সেখানে রিক্সা বন্ধ … পরশু সেখানে আবার বোথওয়ে …
আজ এই রাস্তা বানাচ্ছে তো কাল সেখানে ৩০ ফিট নিচে স্যয়ার পাইপের জন্য বিশাল গাত্থাগাত্থির কাজ শুরু …
স্রেফ মগের মুল্লুকেই এরকম সম্ভব …
ফ্লাইওভার বানাবে তো ঠিক আছে … সবকিছু প্ল্যান করে নিক আগে … কোথায় কোন রাস্তা মেইন রুট .. কোনটা লিঙ্ক রোড … কোন লিঙ্কটা কোন জায়গায় কোন মেইন রুটের সাথে লাগবে … কোন খানে কোনখানে কোনখানে ফ্লাইওভার বসবে … কোন জায়গায় ভবিষ্যতে রাস্তা হওয়ার অপশন রেখে দিতে হবে … ইত্যাদি ইত্যাদি .. ইত্যাদি।
তার পর আপনি একটা একটা করে ফ্লাইওভার বানাতে শুরু করেন … নাচতে নাচতে সব “আপাত” জ্যাম মেনে নেব … কোন সমস্যা নেই।
কিন্তু তা তো হচ্ছে না … “উর্বর মাথায় “আৎকা” চিন্তা আসলো .. আর করে ফেললাম”-টাইপ প্রডাক্ট পাচ্ছি ।
মনজুরুল হক বলেছেন:
বাংলাদেশের অদ্ভুত আর কিম্ভুতকিমাকার সড়ক যোগাযোগ নিয়ে আমার একটা বিটকেলে গোছের লেখা এখানে দেওয়ার লোভ সামলাতে হলো নির্মোহ ভাবে, কেননা,এই বিষয়ে কারো কোন কিছুই কোন কিছুকে প্রভাবিত করে না। করেনি। করবেও না!!
ত্রিশোনকু বলেছেন: মনজুর আপনাকে:
১। যে থানার ওসি ১২,০০০/- টাকার ভাড়া বাড়িতে থাকে তাকে, যে প্রশাসনের (পুলিশ) বার্ষিক ঘুষ গ্রহনের পরিমান ২৫০ মিলিয়ন ডলার, সেই প্রশাসনকে কিভাবেই বা দুর্নীতিমুক্ত করবেন?
২। বিচার ব্যবস্থায় সাক্ষ্য অত্যন্ত জরুরী। সন্ত্রাসীকে অভিযুক্ত করতে সেই সাক্ষীর সাক্ষ্য যোগাড় করার কোন উপায় বের করতে পারবেন কি? Witness Protection Program আমাদের মত ছোট্ট এবং অত্যন্ত জনবহুল দেশে আদৌ বাস্তব সম্মত কি?
৩। Extra Judicial Killing অবশ্যই গ্রহনযোগ্য নয়, কিন্ত আর কিভাবে সন্ত্রাসী কমানো সম্ভব? ব্যাপারটি নিয়ে আমি অনেক অনেক দিন থেকে গভীরভাবে ভাবছি-কোন কুলকিনারা করতে পারিনিএখনো।
যে সব দেশে এই ধরণের সংস্থা নেই তারা কি ভাবে করে? বা দেশে আজ থেকে ১০/১৫ বছর আগে কি ভাবে সম্ভব হতো?

“যে সব দেশে এই ধরণের সংস্থা নেই তারা কি ভাবে করে? বা দেশে আজ থেকে ১০/১৫ বছর আগে কি ভাবে সম্ভব হতো?”সেসব দেশে আইনের শাসন আছে, সেখানে লোক সংখ্যা কম বা সেসব দেশে উইটনেস প্রোটেকশন প্রোগ্রাম কাজ করে। আমাদের দেশে সন্ত্রাস ১০/১৫ বছর আগেও প্রাতিষ্ঠানিক রুপ পায়নি।
১. ০৬ ই জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১:৩৭