২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১১:৩৮ |
শহরে সবাই ঘুমে অচেতন
জেগে আছে সে, কাল যার আয়ূ শেষ।
চটাওঠা দেওয়ালে জেগে আছে
কত চেনা মুখ-অচেনা মুখ
পলকে মিলিয়ে যায়
পলকে জেগে ওঠে…..কে জাগে…কে জাগে….
আর জেগে আছে শকুনি
এবং ছানারা, খাবার জোটেনি।
মানুষ মরে না, বাঁচে জীবনামৃত
ছানারা ডানা ঝাপটায়,
শকুনি অসহায়….কে জাগে…কে জাগে…
আর জেগে আছে কংকালসার
এক অনির্বাণ, জাগার বাসনায়
জাগে না জীবন,কেবল বাসনা জাগে
সারারাত কালসিটে চোখে সে জাগে
সেও জাগে….কে জাগে….কে জাগে….
ভোর হলে যার আয়ূ শেষ সেও জাগে
আর জাগে ভোর হলে যার আয়ূ শুরু
জাগে জননী স্তণ্যভারে ফোঁটা ফোঁটা দুধ
পড়ে টপ টপ…সেও জাগে…আর কে জাগে…..
আর জাগে মহাকাল,
জাগে অনাহার জাগে অবিচার
জাগে সুপ্ত বাসনা জাগে ব্যাভিচার
জাগে অনন্তবিদারি হাহাকার
শেষে সকলে ঘুমায়, জাগে শুধু সে
কাল যার আয়ূ শেষ…শুধু সে-ই জাগে…
লেখাটির বিষয়বস্তু(ট্যাগ/কি-ওয়ার্ড): অকবিতা ;
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জুন, ২০১০ রাত ২:৪০ | বিষয়বস্তুর স্বত্বাধিকার ও সম্পূর্ণ দায় কেবলমাত্র প্রকাশকারীর…
৩৪২ বার পঠিত০৪২১২
মন্তব্য দেখা না গেলে – CTRL+F5 বাট্ন চাপুন। অথবা ক্যাশ পরিষ্কার করুন। ক্যাশ পরিষ্কার করার জন্য এই লিঙ্ক গুলো দেখুন ফায়ারফক্স, ক্রোম, অপেরা, ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার।
৪২টি মন্তব্য
১-২৩
১. ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১২:০১
মহাকালর্ষি বলেছেন: বেশ লাগলো।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ২:০৬
লেখক বলেছেন:
বহুকাল পরে মহাকালর্ষি !! ভাল তো ?
২. ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১২:০৩
রাজর্ষী বলেছেন: কাল যার আয়ূ শেষ…শুধু সে-ই জাগে..।
বড়ই সত্যকথন। আমারও কি আয়ু শেষ?
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১২:০৮
লেখক বলেছেন:
জেগে আছেন নাকি ? আমি তো ঘুমিয়ে….
শিগগির ঘুমিয়ে পড়ুন……………………
৩. ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১২:১১
শেখ জলিল বলেছেন: বোধের অস্তিত্বে নাড়া দিয়ে গেলো কবিতাটি।
কবিকে ধন্যবাদ।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১:৪১
লেখক বলেছেন:
প্রিয় কবিকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
৪. ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১২:৩৭
তারার হাসি বলেছেন:
কাল যার আয়ু শেষ…শুধু সে-ই জাগে
আর যার জীবন কাল শুরু সে,
সে কি করে ?
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১:১৯
লেখক বলেছেন:
সেও ঘুমায়। সবাই কোন না কোনভাবে ঘুমায়।
চেতনে-অচেতনে ঘুমায়। শুধু সে-ই জাগে
কাল যার আয়ূ শেষ, আর সে জাগে
আগামীকাল যে শেষঘুম ঘুমাবে…………
৫. ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ৩:১৮
বলেছেন: “কাল যার আয়ূ শেষ…শুধু সে-ই জাগে…” অসাধারণ।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১১:০৩
লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ
৬. ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৮:০৪
বলেছেন: সার্ত্রের সেই গল্পটার কথা মনে করায় দিলেন। সারা রাত যাইগা থাকে ভোরে ফায়ারিং স্কোয়াডে যাওয়ার জন্য।
কাল দেখা হচ্ছে?
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১২:০৮
লেখক বলেছেন:
…..তার বিশ্বাস ছিল কেউ না কেউ কোন না কোন ভাবে তাকে বাঁচাতে আসবে !!
হ্যাঁ হচ্চ্ছ।
৭. ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৮:২৬
চাঙ্কু বলেছেন: আর জাগে মহাকাল,
জাগে অনাহার জাগে অবিচার
জাগে সুপ্ত বাসনা জাগে ব্যাভিচার
জাগে অনন্তবিদারি হাহাকার
শেষে সকলে ঘুমায়, জাগে শুধু সে
কাল যার আয়ূ শেষ…শুধু সে-ই জাগে ।
কঠিন সব ভাবের কথা-বার্তা
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ২:১৩
লেখক বলেছেন:
চাঙ্কুর জন্য এসব মোটেই কঠিন কিছু না! ভাইয়াটা কি ভাল আছে ?
৮. ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১১:০৮
তনুজা বলেছেন: শিরোণাম দেখে ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম , কেন সেটা বুঝেছেন নিশ্চয়ই,
ভাল লেগেছে লেখাটা
“…..আর জেগে আছে শকুনি
এবং ছানারা, খাবার জোটেনি।
মানুষ মরে না, বাঁচে জীবনামৃত
ছানারা ডানা ঝাপটায়,
শকুনি অসহায়
……………….
আর জেগে আছে কংকালসার
এক অনির্বাণ, জাগার বাসনায়
জাগে না জীবন,কেবল বাসনা জাগে
………………
ভোর হলে যার আয়ূ শেষ সেও জাগে
আর জাগে ভোর হলে যার আয়ূ শুরু
জাগে জননী স্তণ্যভারে ফোঁটা ফোঁটা দুধ…..”
মনটা বিষন্ন হয়ে যায় এমন শব্দ গুলো
ভাল থাকুন
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১১:২৫
লেখক বলেছেন:
এটা একটা ট্রিলজি। কাল হঠাৎ মনটা বিষন্ন হয়ে উঠলে মনে হলো একটা পার্ট লিখি…এই পার্টটাই অনেকটা বড় হয়ে গেল, তাই আর দুটো দেওয়া গেল না।
আমার মন বিষন্ন হলে আমি কেবলই গরাদের ওপারে একটি কালো মেয়ে শিশুকে দেখি…..গরাদে মাথা ঠেকিয়ে বেরুবার আকুতি জানাচ্ছে…………….
কিন্তু শকুন শিশুটি কি দোষ করেছে? তার কেন খাবার জুটবে না!
কিন্তু মানব শিশুটি কি দোষ করেছে? সে কেন শকুন শিশুর খাবার হবে…..!!
সব এলোমেলো হয়ে যায়, ভাল লাগে না………………………………………….
৯. ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১১:১৯
সত্যান্বেষী বলেছেন: ব্লগে প্রকাশিত আপনার কবিতাগুলোর কয়েকটা আমার ভিতরে নিরন্তর জেগে থাকে।
বুঝার চেষ্টা করেও মনে হয় ঠিকমতো বুঝিনি কি আছে লাইনগুলোর বাইরে। যে জেগে আছে তার আয়ু কাল শেষ বলেই কি সে জেগে আছে? শকুন কি তারই মৃত্যুর জন্য প্রতীক্ষা করে আছে? একটা জিনিষ আমার কাছে মনে হলো এই কবিতায় কেমন যেন নিজেকে অতিক্রমনের চেষ্টা। এবং চেষ্টা বেশ সফলও। কবি তো ভেঙে ভেঙে বারবার নতুন কবি হয়ে উঠবেই।
প্রশ্নগুলো সত্ত্বেও ভিতরে নিরন্তর জেগে থাকার মতোই কবিতাটি।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১১:৩৯
লেখক বলেছেন:
এখানে চেতনে জাগা আর অচেতনে জাগার ব্যাপারগুলো আনার চেষ্টা করে গেছি। আমরা কখনোই ভাবতে রাজি নই যে একজন মানুষ মরলে পরে শকুনি তার ছানাদের খাবার দিতে পারবে! অন্য ভাবেও পারে। কিন্তু শকুনি প্রধারণত মানুষকেই খাবার বানাতে চায়।
কিন্তু কর্পোরেট ইজমে এখন মানুষের মহা আয়ূ! দিন দিন সে অনেকটা সময় ধরে বেঁচে আছে। একে বাঁচা বলে। আমি বলি…………… জীবনামৃত।
১০. ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১১:৩৪
মনজুরুল হক বলেছেন:
তনুজা,সত্যান্বেষীদের মত পাঠক/সমালোচক পেলে আমি কবিতায় হামা দিতে রাজি আছি। আমি লেখার সময় অনুচ্চস্বরে আবৃত্তি করি, ভাষাকে চালকে না বসিয়ে “কি বলতে চাই” কে বসিয়ে দেই স্টিয়ারিং ধরিয়ে। এবার সে চালিয়ে নিয়ে যাক মোহনায়…
১১. ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১:১০
তনুজা বলেছেন: মনজু ভাই এইটা কি বললেন? সত্যান্বেষীর কথা ঠিক- ই আছে আমিও বলি , কিন্তু আমি যে এখনও লেখায় ও পড়ায় শিশু তস্য শিশু
এই কথার পর একটা আব্দার করেই ফেললাম, আমার তিনটে লিঙ্ক দিচ্ছি ছোট আছে একফাঁকে ঘুরে যাবেন
(আপনাকে কবিতা দিয়ে জর্জরিত করতে লজ্জা লাগছে, কি করব পড়ালেখার পাঠ থাকায় সত্যিকার লেখা শুরু করতে পারছি না, দু’ তিন বছরের আগে ধরব ও না , আমাকে একটু পায়ের ধুলো দেবেন তো ভার্চুয়ালি যেন এই ইচ্ছেটা পূরণ করতে পারি কোনকালে )
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১:২৬
লেখক বলেছেন:
আপনার তিনটি লিংক ধরে যাওয়ার আগে দুটি কথাঃ
লেখালেখিতে শিশু তস্য শিশু এই বিষেষণটি মানতে পারলাম না। এই ব্লগে একটি ২৩/২৪ বছরের মেয়ে আমার এক পোস্টে আমার সাথে চমৎকার একটি কনফ্রন্টেশনাল ডিবেট তৈরি করেছিল। আমি তার বাগ্মিতা আর ঋজুকথনে মুগ্ধ হয়েছিলাম। বয়স সেখানে “মাতব্বর” হয়ে দাঁড়ায়নি।
কয়েক মাস আগে অন্য একটি ব্লগে দময়ন্তী নামের একজন মেয়ে আমার একটি গল্পে শুধু এটুকু মন্তব্য করেছিল……”চাপা কষ্ট! নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে…..”
অর্থাৎ সে গল্পটার ভেতরে এমন ভাবে ঢুকে গেছিল যে তার বাস্তব শরীর-মন প্রভাবিত হয়ে গেছিল! এমন পাঠক একজন লেখকের জন্য কি সাংঘাতিক অনুপ্রেরণার তা লিখে বোঝানো যাবে না।
আপনি বিশেষ বিশেষ লেখায় মন্তব্য করেন। সেই মন্তব্যের ওজন মাপতে মনজুরুল হকের ভুল হয়না। “অরুনাভ” তে আপনি কি বলেছিলেন আমার পষ্ট মনে আছে।
১২. ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১:৩১
আশরাফ মাহমুদ বলেছেন: শিরোনাম দেখে ভয় পেয়েছিলাম। শিরোনামে ‘আয়ু’ হবে বোধহয়।
যতই ভাবি কেবলি বোধ হয়, মানুষ চেনা বড্ড কঠিন।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১:৫৬
লেখক বলেছেন:
যে প্রাণীর মগজ তার আধারের তুলনায় বেশি তাকে চেনা তো কঠিন হবেই! মানুষের মাপের অন্য প্রাণীর মাথায় মানুষের তুলনায় গ্রে কালারের বস্তুটির পরিমান অর্ধেকেরও কম।
ভাল থাকুন।
১৩. ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১:৪৮
নাজিম উদদীন বলেছেন: ভাষাকে চালকে না বসিয়ে “কি বলতে চাই” কে বসিয়ে দেই স্টিয়ারিং ধরিয়ে।
গোপন কথা ফাঁস করে দিলেন, আমি তাইলে শুরু করি।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ২:৩৬
লেখক বলেছেন:
তাড়াতাড়ি শুরু করুন। তাতে অন্তত “মঙ্গলম”, “কষ্ট রেখে গেলাম” “অচিনপুরেরআশা” টাইপ লুলায়ীত শব্দসন্ত্রাস থেকে আমরা বেরুতে পারব…………
১৪. ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১:৫৬
অরণ্য আনাম বলেছেন: ব্লগারদের আলোচনায় যে সীদ্ধান্ত হয়েছে, তা নিয়ে একটি পোষ্ট আপনার কাছ থেকে আশা করছি।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ২:০০
লেখক বলেছেন: কোন বিষয়ে? যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে গণস্বাক্ষর গ্রহণ প্রসঙ্গে ? জানাও।
১৫. ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ২:২২
অরণ্য আনাম বলেছেন: যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি এবং “ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি-র প্রস্তাব
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ২:২৪
লেখক বলেছেন: আজ আর পারব না ভাইয়া। রাত দশটা থেকে দুইটা লেখা নামানোর পর ক্লান্ত। কাল পোস্ট দেব। আজ সব ম্যাটরিয়ালস রেডি করে রাখছি।
১৬. ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ২:২৮
অরণ্য আনাম বলেছেন: ধন্যবাদ দাদা
১৭. ০১ লা মার্চ, ২০০৯ বিকাল ৩:২৬
সত্যান্বেষী বলেছেন:
বৃত্তবন্দী বলেছেন: এইট পাশ অশিক্ষিত দারোয়ানদের আবার বিচার কি??? এখনও যে বেঁচে আছে সেটাই ওদের সাতপুরুষের ভাগ্য…
১৮. ০১ লা মার্চ, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:০৫
সত্যান্বেষী বলেছেন: ফারহানার পুরা পোস্ট পইড়া অহন মনে অইতাছে রিভার্স গেইম। হা হা হা।
১৩ ই মার্চ, ২০০৯ ভোর ৪:৫৫
লেখক বলেছেন: ফারহানা একটা দারুন কাজ করেছে…
১৯. ০১ লা মার্চ, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:১৬
সত্যান্বেষী বলেছেন: ‘এটা হইল সেই মিডিয়া, যার সংবাদ পাঠিকা মৃদু হাসি মুখে ঝুলিয়ে বলেনঃ “ষাঁটনলে লঞ্চডুবিতে মৃতের সংখ্যা ৪ শ ছাড়িয়েছে….
এটা হইল সেই দেশ, যে দেশের মার্সেনারি সেনা কর্তারা জাতিসঙ্ঘ মিশনে ভাড়ায় গিয়ে মারা যাবার পর ২১ বার তোপধ্বনি করা হয়, ১৫ লাখ টাকা ক্ষতিপুরণ দেওয়া হয়।টিভিতে লাইভ দেখানো হয়। আর পুলিশ,বিডিআর,আনসারদের সেপাইরা মরলে “আত্মিয় স্বজনের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয় ” !!
আসেন শ্লোগান দেই…..জয় এলিট বাবার জয় ! জয় বিসিএস বাবার জয় ! জয় ক্যাডেট বাবার জয় ! জয় দেশপ্রেমিক সকল কর্তাব্যক্তিদের জয় !!! ‘
একটা পোস্টে আপনার এই মন্তব্যটা পেলাম। অসাধারণ লাগল।
২০. ০২ রা মার্চ, ২০০৯ সকাল ১১:২৯
১৯ শে মার্চ, ২০০৯ রাত ১২:৩০
লেখক বলেছেন: কবি কিছুই কহিলেন না !!
২১. ০৫ ই মার্চ, ২০০৯ রাত ১:২৫
রোজনামচা বলেছেন: শেষে সকলে ঘুমায়, জাগে শুধু সে
কাল যার আয়ূ শেষ…শুধু সে-ই জাগে…
মাথার ভেতরে অন্য কোনো বোধ কাজ করছে লাইনটা পড়ে। কাল যার আয়ূ শেষ…শুধু সে-ই জাগে… !
আরো একবার এমনটা হয়েছিল। এই ব্লগেই। আজহার ফরহাদের কবিতায়।
অথচ যার অসুখ না থাকবার সুখহীন জীবন আর
ঘুম না ভাঙার স্বপ্নহীন জাগরণ আছে…
আর এখন- কাল যার আয়ূ শেষ…শুধু সে-ই জাগে…
বলি মনজুরুল ভাই- জাগি তো আমিও। তবে কি..
০৫ ই মার্চ, ২০০৯ রাত ১১:৩৫
লেখক বলেছেন:
রবীন্দ্রনাথের আধো জাগরণ আর অস্থির এই সময়ের খাবিখাওয়া মানুষের জাগরণে বিস্তর ফারাক। আমরা এখন সুখে নয় অসুখে জাগি,ঘুমিয়ে মরে যাবার ভয়ে জেগে থাকি…..
কাল যার আয়ু শেষ সে কি করে ঘুমায়? শেষ বারের মত, হ্যাঁ, শেষবারের মত এত সুন্দর পৃথিবীকে যতক্ষণ পারে দেখে নিতে চায়!
আপনি-আমিও জাগি, তবে সে জাগা একটি প্রগাঢ় ঘুমের পূর্বক্ষণ মাত্র, অন্তত আমার তাই মনে হয়।
২২. ০৫ ই মার্চ, ২০০৯ রাত ১১:৪৩
রোজনামচা বলেছেন: আসলেই। রবীন্দ্রনাথের আধো জাগরণ আর অস্থির এই সময়ের খাবিখাওয়া মানুষের অনিদ্রা‘র ফারাক অনেকানেক।
০৮ ই মার্চ, ২০০৯ বিকাল ৫:২২
লেখক বলেছেন:
আমার কি মনে হয় জানেন, চোখ মেলে নিরুদ্বেগ ঘুমিয়ে আছি কাল থেকে কালান্তরে….. যুগ থেকে যুগান্তরে…… প্রগাঢ় গভীর ঘুম
২৩. ১৯ শে মার্চ, ২০০৯ রাত ১২:৪৪
কালপুরুষ বলেছেন: আপনার গদ্য পড়েছি। সম্ভবত (ঠিক মনে পড়ছেনা পড়েছি কিনা) আজকে প্রথম আপনার কবিতা পড়লাম। ভাল লাগলো।
১৯ শে মার্চ, ২০০৯ রাত ৩:১০
লেখক বলেছেন:
ধন্যবাদ দাদা। আমি কবিতা খুব কম লিখি। যাও লিখি, তা কারো অনুরোধে। কবিতা আমার তেমন একটা আসে না। আমি নিরেট গদ্যের লোক।