কোনো দেশে যখন কোনো রকম একাউন্টেবিলিটি থাকে না তখন সেখানে শাসকরা যে পরিচয়েই থাকুক অত্যাচারী হবেই। জনগণকে ছিবড়ে রস বের করে নেবেই। জনগণ তাদের কাছে উৎপাদনের টুলস মাত্র। আর সেই জনগণ সকল প্রতিবাদ ভুলে গেছে। তাদের প্রতিনিধি পার্টিগুলো এখন শীতনিদ্রায়।
একটা LDC দেশ যখন DC বা ডেভেলপড কান্ট্রিতে টার্নআউট করে তখন উন্নয়নের নামে এরকম ‘শ্রম শুষে নেওয়া’ চলতে থাকে। আজকের উন্নত সিঙ্গারপুর, মালয়েশিয়ায় ঠিক এটাই ঘটেছিল, যা এখন বাংলাদেশে ঘটছে।
দেশের বহু অঞ্চল এখন ‘বাংলাদেশ’ নয়! ওইসব জায়গা ‘হংকং এর মত’ লিজ দেয়া হয়েছে বিভিন্ন দেশের মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির কাছে, যারা আগামী শতকে পৃথিবী থেকে ‘দেশ’ কনসেপ্টটাই তুলে দেবে। তার বদলে হবে ‘কোম্পানি’। দেশের তথা কোম্পানির প্রধান হবে CEO.
ওই কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর পরের দখলি স্বত্ত্ব কায়েম করেছে দেশী বিজনেস ম্যাগনেটরা। সারা দেশটা তারা ব্লক বানিয়ে ভাগ করে নিয়েছে। আর এস্টাবলিশমেন্ট হলো এসবের ‘হিসাবরক্ষক’। ‘টোল আদায়কারী’ এবং ‘রেশন ডিলার’ বিশেষ।
পিঁয়াজ সংকট আকাশ থেকে পড়েনি। বানানো হয়েছে। লবন সংকট হুজুক তুলে ঘটানো হয়েছে। ক্যাসিনো বাণিজ্য বন্ধের পর তারা খাবে কি? তাই তাদের ওয়াকওভার দেয়া হয়েছে।
আপনি কি জানেন, বাজারে চালের দাম কেজিতে কত বেড়েছে? মোটা চালেই ৯/১০ টাকা! আপনার কি মনে আছে কয়েক মাস আগেই এই ধানের চাষীরা উৎপাদন খরচ তুলতে না পেরে ধান পুড়িয়ে দিয়েছে? চোখের জলে ধান ভিজে গেছে? দেখেননি কারা যেন গেঞ্জিতে নাম লিখে কৃষকের মাঠে গিয়ে নিষ্ঠুর তামাশা করেছিল? পুলিশও সেই ‘সার্কাসে’ যোগ দিয়েছিল। আর এখন সেই কৃষকই চড়া দামে চাল কিনতে বাধ্য হচ্ছে।
এসব খেলা। এই খেলাগুলোর নাম ‘বয়েল্ড ফ্রগ সিনড্রোম’।
গোটা দেশ এই সিনড্রোমে আক্রান্ত।
আপনি আমি সব্বাই।
প্রতিবাদে মাঠে নামবেন না তো?
খেলা চলবে….
…………………
১৯ নভেম্বর, ২০১৯