অনলাইন মৌলবীরা যতই অস্বীকার করুক তারা নিজেরাও প্রতি পদে বিবর্তনবাদের সত্যতার প্রমাণ দিচ্ছে! কীভাবে? কুয়েতসহ কয়েকটি মুসলিম দেশে মসজিদে মাইকে আজান নিষিদ্ধ। সৌদি আরবে ডেডিসবেল সীমিত। সদ্য সবচেয়ে বড় মুসলিম দেশ ইন্দোনেশিয়ায় ৪০ ডেসিবেলের বেশি শব্দে মসজিদে মাইক ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

.

🔇 আর ঠিক সেই সময়ে মুহতারামার প্রশ্রয়ে সারা দেশে মাইকের অত্যাচার সীমা ছাড়িয়েছে। ২শ’ গজের মধ্যে দুটো মসজিদে চারটা-চারটা আটটা মাইক ফুল ভলিউমে বাজে। শুধু মসজিদ না, এখানে প্রত্যেকটা সাউন্ড ডিভাইস থেকে মাত্রাতিরিক্ত শব্দ বের হয়। হাইড্রোলিক হর্ন, প্রাইভেটের হর্ন, বাইকারদের ননস্টপ হর্ন, বিল্ডি বানানোর শব্দ, লক্কড়ঝক্কড় গাড়ির শব্দ, দোকান-পাট, হাট-বাজার-শপিংমল-মেলা, অফিস-আদালত সর্বত্র সহনীয় মাত্রার দিগুণ ডেসিবেল শব্দ সন্ত্রাস ঘটে। এমনকি হাসপাতাল, স্কুল, ক্লিনিকের সামনেও শব্দ নিয়ন্ত্রণের সতর্কবার্তা নেই!

.

🔇 আর সে কারণ এখানকার নাগরিকরা সকলেই জোরে কথা বলে। এটাই ন্যাচারাল সিলেকশন বা প্রাকৃতিক নির্বাচন। প্রকৃতিই এখানকার মানুষের ভোকাল কর্ড লাউড করে দিয়েছে। কানের বারটা অনেক আগেই বেজে যাওয়ায় কণ্ঠস্বর বিবর্তীত হয়ে লাউড এন্ড শাউটেড হয়ে গেছে। এখন এরা ফিস ফিস করে কথা বললেও পাশের বাড়ি থেকে শোনা যাবে।

.

🔇 আর কিছুদিন পরে এই শহরে কথা বলতে এক্সট্রা ডিভাইস ব্যবহার করতে হবে। প্রত্যেকের কানে এয়ার ফোন আর মুখের সামনে মাউথস্পিচ সেঁটে থাকবে। বাঙালির ডজন ডজন নেতিবাচক পরিচয়ের পাশাপাশি নতুন পরিচয় হবে ….’আ নয়েজি নেশন’!

এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান